৭ কোটি টাকা লোকসান নিয়ে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু
২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৩০
ঠাকুরগাঁও: ৭ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা নিয়ে চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও চিনি কলের ৬৫তম আখমাড়াই মৌসুম শুরু হয়েছে। অব্যবস্থাপনা আর সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে সুগারমিলের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় এই আখ মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের পরিচালক আশরাফ আলী।
সুগারমিল সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২০২৩ মাড়াই মৌসুমে ৭২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। আখমাড়াই করে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন। আখ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ একর। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৯৩ একর।
গত মৌসুমে আখ মাড়াই হয় ৫৭ হাজার ৮৩৪ মেট্রিক টন। চিনি উৎপাদন হয় ২ হাজার ৯২২ মেট্রিক টন, চিটা গুড় উৎপাদন হয় ১ হাজার ৪৩৭ মেট্রিক টন।
ঠাকুরগাঁও সুগারমিলটি আধুনিকায়ন করতে গত মৌসুমে ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের গাড়ি কেনা এবং অন্য কাজের জন্য প্রায় ৪-৫ কোটি ব্যয় হয়ে যায়। পরবর্তীতে বারবার প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন এবং অব্যবস্থাপনার কারণে শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি মিলটি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগের সবকটি সুগারমিল লোকসানে থাকায় ৪টি বন্ধ হলেও এখানও চালু রয়েছে ঠাকুরগাঁও সুগারমিল। গত দুই বছর ধরে এ মিলটিতে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার চাষিদের উৎপাদিত আখ সরবরাহ করে এলেও পুরাতন যন্ত্রপাতির কারণে শঙ্কায় আছেন কর্তৃপক্ষ।
চাষীদের অভিযোগ, বার বার মিলটি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ সংকুলান ও সময়মত চাষিদের সরবরাহ করা আখের মূল্য পরিশোধ না করায় আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে এবার বাজারে চিনির মূল্য বাড়তি থাকায় আগামীতে আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবেন কৃষকরা।
সারাবাংলা/এমও