Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সারাদেশে গণমিছিলে তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ: বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:০৮

ঢাকা: সারাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কেন্দ্রঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচিতে পুলিশ ‘তাণ্ডব’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

শনিবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, রুহুল কবির রিজভীসহ গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিএনপির গণমিছিলের সবশেষ তথ্য তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘রক্তপিপাসু সরকার রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে। গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করার জন্য। সরকারের এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করার জন্য শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সারা দেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচিতে পুলিশ তাণ্ডব চালিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তেল-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে ইতঃপূর্বে ১৫ জন নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। আজ দেশের সব জেলা ও মহানগরে (ঢাকা ও রংপুর ব্যতিত) বিএনপির পূর্ব ঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচিতে এলোপাতারি গুলি করে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিনকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।’

বিজ্ঞাপন

প্রিন্স বলেন, ‘পিরোজপুরে কর্মসূচি পালন করতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে সমবেত হতে থাকলে পুলিশ সরাসরি মিছিলে গুলি করে। পরে দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে। এ সময় জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর হোসেন দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসা ছিলেন। তাকেও বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। পুলিশের গুলি ও হামলায় জেলা বিএনপির আহবায়কসহ ২০জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদকের অভিযোগ— গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা করেছে। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও সাউন্ড গ্রেনেড চালায়। পুলিশের হামলায় বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন। আটক করা হয় ২৫/৩০ নেতা-কর্মীকে।

নীলফামারী জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে গণমিছিল শুরু করার প্রস্তুতি নিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় । এসময় ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। গতরাত থেকে মাগুরা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আহসান হাবীব কিশোরের বাসভবন পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে। সেখান থেকে ২ জন বিএনপি কর্মীকে আটক করেছে করেছে— অভিযোগ এমরান সালেহ প্রিন্সের।

তিনি অভিযোগ করেন, ফরিদপুরে ১২জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পূর্বনির্ধারিত গণমিছিলে ‘ন্যাক্কারজনকভাবে’ বাধা প্রদান করেছে তারা। বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালিতে প্রস্তুতি সভায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দফতরে সংযুক্ত) মো. অবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/একে

তাণ্ডব পুলিশ বিএনপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর