Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জনগণের আস্থা অর্জন করলে সরকার চালানো কঠিন হয় না: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:২২

ঢাকা: কেউ যেন দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটিই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সংগঠন যদি শক্তিশালী থাকে আর মানুষের আস্থা বিশ্বাস যদি অর্জন করতে পারে তাহলে সরকার চালানো এবং দেশের উন্নয়ন করা কঠিন কাজ হয় না; এটি হলো বাস্তবতা।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এই দেশটা জাতির পিতা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে এটিই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‌‌‘বাংলাদেশের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। আর ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট করতে হবে না, সবাই যেন সুন্দর একটি জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়, সমৃদ্ধশালী জীবন পায় সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য; সেটিই করতে চাই।’

আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সম্মেলন হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমরা কমিটি করেছি। নিয়ম অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা আমাদের সদস্যদের নির্বাচিত করব।’

তিনি আরও বলেন,  ‘এই সংগঠনটিই আমাদের বড় শক্তি এটিও মাথায় রাখতে হবে। সংগঠন যদি শক্তিশালী থাকে আর মানুষের আস্থা বিশ্বাস যদি অর্জন করতে পারে তাহলে সরকার চালানো এবং দেশের উন্নয়ন করা কঠিন কাজ হয় না; এটি হলো বাস্তবতা। সে বাস্তবতা নিয়েই আমরা কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।’

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনশাল্লাহ, আমাদের যে লক্ষ্য ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ- সেটি কীভাবে করব কী কী ক্ষেত্রে করব সেটি আমি আগেও বলেছি।… অর্থাৎ আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট জনগোষ্ঠী, সেটিই আমরা করতে চাই।’

বাংলাদেশ সবসময় এগিয়ে থাকবে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। টানা মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি, স্যাটেলাইট যুগে পদার্পণ করেছি। আগামী ২৮ তারিখ মেট্রোরেল (উদ্বোধন), এটি কিন্তু ইলেকট্রিক ট্রেন। এটি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে হতো না। আজকে কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পদ্মা সেতু যেটি আমাদের বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ ছিল; সেই চ্যালেঞ্জ আমরা নিয়েছিলাম এবং নিজেদের টাকায় করব সেই ঘোষণা দিয়েছিলাম। নিজেদের টাকায় আমরা করেছি পদ্মা সেতু নির্মাণের কারো কোন টাকা আমরা নেইনি, সে সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি।’

করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ধাক্কাগুলো যদি না আসতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাহলে আজকের বাংলাদেশ আমরা আরও অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারতাম।’

সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সিমিন হোসেন রিমি, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/একে

আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর