মসজিদ সংস্কার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত সভাপতির মৃত্যু
২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৩১
লালমনিরহাট: জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় মসজিদ সংস্কার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মসজিদ কমিটির আহত সভাপতি অলিয়ার রহমানের (৭০) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত অলিয়ার রহমান উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা গ্রামের বাসিন্দা। ওই গ্রামের উফারমারা বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, উপজেলার উফারমারা বায়তুল আমান জামে মসজিদটি টিনশেট ছিল। তা সংস্কার করে পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণ করে মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসী। সবার দানে ইতোমধ্যে পাকা করার কাজ শুরু হয়। নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য পুরাতন টিনশেড ঘরটি গত ২১ ডিসেম্বর সড়ানো শুরু করেন শ্রমিকরা। এ সময় ওই গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য হামিদুল ইসলাম ও তার ভাই ফরিদুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম কাজে বাধা দেন। এর কারণ জানতে গেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি অলিয়ার রহমানের সঙ্গে তাদের বিতর্ক হয়। এর এক পর্যয়ে সেনা সদস্য হামিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে অলিয়ারের মাথায় আঘাত করেন। তাকে বাঁচাতে তার ছেলে আবু আলম ও শাহা আলম এগিয়ে এলে তাদেরও মারপিট করে।
আরও জানা গেছে, পরে স্থানীয়রা এসে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য অলিয়ার রহমান ও তার ছেলে আবু আলমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে টানা এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থেকে আজ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে মারা যান সভাপতি অলিয়ার রহমান।
এ ঘটনায় ২১ ডিসেম্বর সভাপতি অলিয়ার রহমানের ছেলে শাহা আলম বাদী হয়ে হামিদুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ ওই দিন রাতেই হামিদুলের স্ত্রী আঞ্জু বেগমকে গ্রেফতার করে। অপর অভিযুক্তদের মধ্যে সাতজন মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমার্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ঘটনার দিনেই মামলা নিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অলিয়ার রহমান মারা গেছেন। এ দিনই সাতজন আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের সকলের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর দির্দেশ দেন।
সারাবাংলা/এনএস