রসিক নির্বাচন: ‘নেতাকর্মীরা ডালিয়াকে না মানায় আ.লীগের ভরাডুবি’
২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৫৭
রংপুর: রংপুরের স্থানীয় নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াকে মেনে না নেওয়ায় রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের ভরাডুবি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নবনির্বাচিত মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় প্রসঙ্গে নব নির্বাচিত রসিক মেয়র সারাবাংলাকে এ কথা বলেন।
তবে অল্প দিনের প্রচার প্রচারণায় ভোটারদারে কাছে না পৌঁছান, আর দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে পরাজয়ের কারণ হিসেবে দেখছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তার জয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন কর্মী-সমর্থকরা। বুধবার নবনির্বাচিত মেয়রকে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীসহ এলাকাবাসী।
নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিগত পাঁচ বছরের মতো আগামীতেও দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মোস্তাফিজার রহমান। এছাড়া নগরীর উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করার ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি নিয়েও কথা বলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নেতাকর্মীদের ব্যর্থতার কারণে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যে প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি আসলে নগরীর ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে পারেননি। স্থানীয় নেতাকর্মীরাও তাকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। এজন্যই তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ দল। এই দলের অনেক সহযোগী সংগঠন আছে। যারা একসঙ্গে কাজ করলে নির্বাচনে লড়াইটি বেশ হতো। আওয়ামী লীগের প্রার্থী চতুর্থ হয়েছেন। আশা করেছিলাম তিনি আরও বেশি ভোট পাবেন।’
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, ‘প্রচার প্রচারণায় সময় কম থাকায় সব ভোটারের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। নগরির ৩৩ টি ওয়ার্ড বিশাল এলাকা জুড়ে। এসব এলাকায় এতো কম সময়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো অনেক কঠিন। আরও কিছুদিন সময় পেলে ভোটারদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হতো।’
এছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নেওয়াকেও পরাজয়ের কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আমাদের দলের একজন বিদ্রোহী প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন অংশ নেওয়ার কারণে নৌকার প্রতীকে ভোট কমেছে। বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলে আমরা আরও ভোট পেতাম।’
উল্লেখ্য, বেসরকারি ফলাফলে রংপুর সিটি নির্বাচনে, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে ১ লাখ ২৪ হাজার ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
সারাবাংলা/এনএস