Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম নগরী ‘পরিত্যক্ত’ হওয়ার আশঙ্কা মেয়র রেজাউলের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৪০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সুনির্দিষ্ট মহাপরিকল্পনা না নিলে ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরী পরিত্যক্ত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় মাস্টারপ্ল্যান (২০২০-২০৪১) প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত অংশীজন সভায় মেয়র একথা বলেন। নগরীর আন্দরকিল্লায় পুরনো নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। অংশীজন হিসেবে সভায় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ‘১৯৯৫ সালে একটি মহাপরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি কতটুকু কার্যকর করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এই শহর নষ্ট করার দায় সবার আছে। পাহাড় কেটে আবাসন গড়ে তোলা হয়েছে। খাল-নালা ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। খেলার মাঠে ভবন আর বাজার বসেছে। এগুলো করা না হলে সুন্দর চট্টগ্রাম শহর নষ্ট হতো না।

‘একটি নগরীতে যা থাকা দরকার, তা নগরবাসী পাচ্ছে না। তাই নগরীকে কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত করে সুনির্দিষ্ট মহাপরিকল্পনা করতে হবে। যাতে সেখানে খেলার মাঠ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, উন্মুক্ত মঞ্চসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকতে হবে।’

নতুন মহাপরিকল্পনায় চট্টগ্রাম নগরীকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে মেয়র বলেন, ‘মান্ধাতা আমলের পরিকল্পনা দিয়ে পরিকল্পিত নগর করা যাবে না। পরিকল্পিত নগর করতে হলে উন্নত মানের পরিকল্পনা প্রয়োজন। না হলে চট্টগ্রাম শহর ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে যাবে।’

চট্টগ্রামকে পর্যটনবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের তাগিদ দেন মেয়র।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘সিডিএ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩৬টি খালে কাজ করছে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে কাজ করার কারণে জলাবদ্ধতার কষ্ট কমছে না। এই শীত মৌসুমেও নগরীর চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় হাঁটুর ওপরে পানি জমে আছে। তবে মানুষ এবার জলাবদ্ধতায় কষ্ট পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘আগের নগর মহাপরিকল্পনা করা হয়েছিল ঘরে বসেই। ওয়ার্ড পর্যায়ে যাওয়া হয়েছে কম। এবার এলাকায় এলাকায় গিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নতুন মহাপরিকল্পনা করা হবে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোবারক আলী ও আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সিডিএর উপ প্রধান পরিকল্পনাবিদ মো. আবু ঈছা আনছারী এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডেটেক্স-টিলার-ইজিএসের দলনেতা অধ্যাপক আহসানুল কবির।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

চট্টগ্রাম নগরী মেয়র রেজাউল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর