কিশোরী মেয়েকে বিয়ে দেওয়ায় মাকে জেলে পাঠালেন ইউএনও
২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:২৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে দেওয়ায় মাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ ঘটনা নিয়ে ফটিকছড়িতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে ফটিকছড়ি পৌরসভার বিবিরহাট বাজারে সানমুন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন।
দণ্ডিত হোসনে আরা বেগম (৪৫) উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বড়ছিলোনিয়া গ্রামের শফিউল আলমের স্ত্রী।
বর আনোয়ার হোসেন (৩১) ফটিকছড়ি পৌরসভার আমানবাজার এলাকার নুরুল হকের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হোসনে আরা বেগমকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদেশের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। অন্যদিকে বর আনোয়ার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির রহমান সানি সারাবাংলাকে বলেন, ‘হোসনে আরা বেগমের মেয়ের বয়স ১৪ বছর পার হয়েছে মাত্র। কয়েকদিন আগে ধর্মীয়মতে তাদের বিয়ে হয়। গতকাল (বুধবার) রাতে কনেপক্ষ বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাল্যবিয়ের তথ্য পেয়ে আমরা সেখানে অভিযান চালাই। কনের মা তার মেয়ের বয়স ১৪ বছর পূর্ণ হয়েছে বলে স্বীকার করেন। এ জন্য তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বরকে জরিমানা করা হয়েছে।’
‘তবে যেহেতু শরীয়তমতে বিয়ে হয়ে গেছে, এক্ষেত্রে সেটা ভাঙার বা তাদের আলাদা করার এখতিয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেই। এরপরও কিশোরীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’- বলেন ইউএনও
এদিকে কনের মাকে কারাদণ্ড দেওয়ার ছবি-ভিডিও রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকে মধ্যবয়সী এই নারীকে কারাদণ্ড দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আবার জনসচেতনতার জন্য এই শাস্তি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, এমন মতও দিয়েছেন কেউ কেউ।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ