Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৫৭

ঢাবি: কথা-কাটাকাটির জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে মেরে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বিজয় একাত্তর হলের ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে। প্রথমে হেনস্তা এবং পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির রুমে গিয়ে আশ্রয় নিলে, সেখানে গিয়েও ঘুষি মেরে জখম করা হয় বলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ।

গতকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রাকিবুল হাসান ২০১৮-১৯ সেশনে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এবং বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের আইন উপ-সম্পাদক। বর্তমানে তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম রিদওয়ানুল হক রিয়াদ। তিনি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা অনুষদের শিক্ষার্থী।

রিদওয়ানুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি যথারীতি পড়াশোনা করে লিফটে উঠছিলাম রুমে যাওয়ার জন্য। লিফটে উঠতেই রাকিবুল হাসানের ফোনে আমার ব্যাগ লেগেছে বলে উচ্চবাচ্য করে। তাকে শান্তভাবে বললাম যে, তুমি আমাকে ভদ্রভাবে বলতে পারতে। সে আমাকে বলে, তুমি কে? তোমাকে চিনি না। এভাবে সে সবার সামনে আমাকে হেনস্তা করে। এক পর্যায়ে সে আমার হুডির কলার টেনে লিফটের বাইরে বের করতে চায়। এর মাঝে ধস্তাধস্তি করে বসে। পরে সে ফলো করে আমার রুমেই যাচ্ছিল। তখন আমি বর্তমান প্রেসিডেন্ট (হল ছাত্রলীগ) সজীব ভাইয়ের রুমে যাই। ওনাকে না পেয়ে ওই রুমে অবস্থান করি। উনি ফোনে আমাকে অপেক্ষা করতে বলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরই মাঝে সে আবারও আমাকে নিচে নিয়ে মারার হুমকি দেয়। বারবার হুমকি দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে সে আমার মুখের ডান পাশে আঘাত করে। আমি আটকানোর জন্য চেষ্টা করছিলাম। পরে আরও বেশি চড়াও হয়ে আমাকে লাথি দেয়, আমি প্রায় ৫ মিনিট অজ্ঞান থাকি। এরপরে বন্ধুরে এসে আমাকে নিয়ে যায়।’

বিজ্ঞাপন

এ অভিয়োগের বিষয়ে রাকিবুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘কথা কাটাকাটি হয়েছে। ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত বিষয়টা সীমাবদ্ধ ছিল। আমি কাউকে আঘাত করিনি। ধাক্কাধাক্কির কারণে আমার হাতেও তার নখের আঁচড় আছে। মারধরের বিষয়টি সত্য নয়।’

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি এই ধরনের কিছু শুনিনি। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তাহলে অবশ্যই তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখনও হলে যাইনি। হলে গিয়ে বিস্তারিত খবর নেব।’

সারাবাংলা/আরআইআর/এনএস

রাকিবুল হাসান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর