Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ই-টেন্ডারিংয়ের ফলে সাশ্রয় ১০৫ কোটি পাতা কাগজ: সিপিটিইউ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৪৮

ঢাকা: ই-টেন্ডারিংয়ের (ই-জিপি) ফলে ১০৫ কোটি ৩০ লাখ পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে। এতে করে বছরে ৬০ কোটি ডলার আশ্রয় হচ্ছে। সেইসঙ্গে দরদাতাদের ৪৯ কোটি ৭০ লাখ কিলোমিটার ভ্রমণ দূরত্ব কমেছে। কার্বন নিঃসরণ কম হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৯ টন। এছাড়া সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোসহ নানা উদ্যোগের ফলে পূর্ণতা পেয়েছে দেশের ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়া।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সেন্টাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে সংস্থাটির সন্মেলন কক্ষে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান এবং সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ সোহেলার রহমান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। এতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের আওতায় ২০১১ সালের ২ জুন সিপিটিইউ’র উদ্ভাবিত ‘জাতীয় ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট পোর্টাল’ উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইজিপি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়ন তুলে ধরে বলা হয়, বর্তমানে ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে আহ্বান করা দরপত্রের বিজ্ঞাপন ও চুক্তির শতভাগ প্রকাশিত হচ্ছে এবং যেকোনো নাগরিক সংশ্লিষ্ট তথ্য দেখতে পারেন। আহ্বান করা দরপত্রের ৯৯ শতাংশ নির্ধারিত দরপত্র মেয়াদের মধ্যে চুক্তি করা হচ্ছে। এ সিস্টেম হতে বছরে ৪০০-৪৫০ কোটি টাকা আয় হয়। চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা। এছাড়া ক্রয় প্রক্রিয়ায় গড় সময় ৮৬ দশমিক ৭ দিন থেকে কমে ৫৮ দিন হয়েছে। ই-জিপি সিস্টিম ব্যবহারের ফলে বার্ষিক ৬০ কোটি ডলার সাশ্রয় হচ্ছে। দরদাতাদের ৪৯৭ মিলিয়ন কিলোমিটার ভ্রমণ দূরত্ব কমেছে। পাশাপাশি ১০৫ কোটি ৩০ লাখ পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৯ টন কার্বন নিঃসরণ কম হয়েছে। সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে নেওয়া হয়েছে নানা উদোগ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বর্তমানে ই-জিপির প্রসার অব্যাহত আছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ই-জিপিতে আহ্বান করা দরপত্রের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় লাখ। এছাড়া নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা এক লাখের বেশি। ৫৯টি ব্যাংকের সাড়ে ৬ হাজার বেশি শাখা সারাদেশে দরদাতাদের পেমেন্ট সেবা দিচ্ছে। অনলাইনেও পেমেন্ট চলছে। বদ্বীপ পরিকল্পনা, রূপকল্প ২০৪১, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবছর বাজেটের আকার বৃদ্ধির সঙ্গে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দও বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে সরকারি ক্রয় বা ব্যয়ও। বাজেটের ৪৫ শতাংশ ও এডিপি’র প্রায় ৮০ শতাংশ ব্যয় হয় সরকারি ক্রয়ের মাধ্যমে। সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ই-জিপি।

সারাবাংলা/জেজে/এনএস

ই-টেন্ডারিং

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর