সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীতে পুলিশের কড়াকড়ি
৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:০৭
ঢাকা: আগেই ডিএমপি কমিশনার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীতে কোনো ফানুস উড়ানো যাবে না, আতশবাজি ফোটানো যাবে না এমনকি কোনো মদের বারও খোলা রাখা যাবে না। রাত ৮টার পর রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় পুলিশ কড়াকড়ি অবস্থানে থাকবে।’ সেই ঘোষণা মোতাবেক শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা নামার পরপরই কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুলিশ। ব্যারিকেড বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে।
শনিবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর শাহবাগ, ধানমন্ডি, নীলক্ষেত, হাইকোট চত্বর, পুলিশ প্লাজা, বাড্ডা লিংক রোড, বনানী, বারিধারা, মহাখালী, হাতিরঝিল, সংসদ ভবন এলাকা, মোহাম্মদপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় পুলিশকে ব্যারিকেড বসিয়ে তল্লাশি করতে দেখা গেছে।
এসময় পুলিশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে সাধারণ মানুষকে বাধা দিতে দেখা গেছে। শুধু ঢাবি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন। এর বাইরে কাউকে ঢাবি ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একই অবস্থা পুলিশ প্লাজার সামনের সড়কে গুলশানে প্রবেশকারী গাড়িগুলোকে ফিরিয়ে দিতে দেখা গেছে। সড়কে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। তবে গুলশানের বাসিন্দারা হেঁটে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুলশান থেকে বের হওয়ার জন্য সড়ক খোলা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, ‘রাত ৮টার আগেই সড়কে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। মাদক সরবরাহ থেকে শুরু করে উচ্ছৃঙ্খল কেউ যেন কোনো কিছু ঘটাতে না পারে সেজন্য সজাগ রয়েছে পুলিশ।’
এদিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাবও রাজধানীতে আলাদা আলাদাভাবে নিরাপত্তা দিচ্ছে। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কেউ যেন কোনো নাশকতা ঘটাতে না পারে সেজন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে র্যাব। বিশেষ করে গুলশান বারিধারা ও বনানী এলাকাসহ উত্তরা, ধানমন্ডি ও ঢাবি এলাকায় অতিরিক্ত টহলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোথাও কোথাও র্যাবের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে।’
সারাবাংলা/ইউজে/এনএস