১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ: খন্দকার মোশাররফ

ঢাকা: নতুন বছরে ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

রোববার (০১ জানুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ ছাত্রসমাবেশ আয়োজন করা হয়।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। গণতন্ত্র নেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ ভুলুণ্ঠিত। বিদেশে টাকা পাচারের কারণে অর্থনীতি ধ্বংসের শেষ প্রান্তে। সরকারি দলের লোকজনের সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, বিচার বিভাগের দলীয়করণের কারণে মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে আমরা যে ১০ দফা ঘোষণা করেছি, সেই ১০ দফা বাস্তবায়ন-ই নতুন বছরে বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশে জনগণ বার্তা দিয়েছে, এ সরকার রাষ্ট্রকে মেরামত করতে পারবে না। তারা এ সরকারকে আর দেখতে চায় না। ১০ দফা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতা ছাড়তে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সব কিছু রাজপথে ফয়সালা করা হবে। সরকারকে বিদায় করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এ জন্য আন্দোলনের অগ্রভাগে ছাত্রদলকে থাকতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে তাদের বিদায় তরান্বিত করতে হবে।

ড. মোশাররফ বলেন, ‘ঢাকার সমাবেশ বানচাল করতে সরকার বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করেছে। সরকার যত নির্যাতন-নিপীড়ন করুক না কেন, আন্দোলনকে দমাতে পারবে না। জনগণ রাস্তায় নেমেছে। সরকারের আর রক্ষা নাই।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে সরকার। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলখানায়। ছাত্রদলকে উঠে দাঁড়াতে হবে। না দাঁড়াতে পারলে নেতাকর্মীদের জেলখানাই থাকতে হবে। ২৩ সাল হবে কলঙ্কমুক্ত করার সাল, বেগম জিয়াকে মুক্ত করার সাল। এ বছর মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘রাজপথে সবকিছুর পয়সালা হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতায় হস্তান্তর করা না হলে ছাত্রদল ৯০’র মত গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারের পতন ঘটাবে।’

বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘সারা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে সরকার। এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে সরকারকে ক্ষমতায় থেকে বিদায় করতে হবে। সরকারের সময় ফুরিয়ে গেছে। ধানাই-পানাই করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। ২০২৩ সালে গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার বছর।’

ছাত্র দলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মো. ইয়াহিয়ার পরিচালনায় ছাত্রসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্র নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুবদলের মামুন হাসান, মৎস্যজীবী দলের মো. আব্দুর রহিম, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস ও হেলেন জেরিন খান, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির মো. তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, ঢাবি ছাত্রদলের আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ