Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ

সারাবাংলা ডেস্ক
১ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:২৫

ঢাকা: সারাদেশে একযোগে উদযাপিত হয়েছে বই উৎসব। বছরের প্রথম দিনেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে গেছে নতুন বই। শিক্ষার্থীরা মাতোয়ারা নতুন বইয়ের ঘ্রাণে।
জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত—

রাজশাহী: রাজশাহীর সব স্কুলে উদযাপিত হয়েছে বই উৎসব। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের আয়োজনে নগরীর অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে বই উৎসব শুরু হয়। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তবক উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘২০১২ সালে দেশ বর্তমানের মতো এতো উন্নত ছিল না। তবে সেই সময়েই সারাদেশে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়ার দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর সরকার সারাদেশের ৪ কোটি ৯ লাখ শিক্ষার্থীদের হাতে প্রায় ৩৫ কোটি বই বিনামূল্যে তুলে দিচ্ছে। আমি মনে করি এটি নাগরিকদের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলে তারা দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে। এতে আমাদের সবদিক দিয়েই লাভ।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এ এন এম মইনুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মাহবুবুর রহমান শাহ, রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন, অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে সভাপতি মোশাররফ হোসেন বাচ্চু, অধ্যক্ষ সাইফুল হকসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

রাজশাহী নগরীর মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসাতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই শিক্ষা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে এসেছি। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন না, উন্নয়ন থেকে কাউকে বঞ্চিত করেছি। আমার রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম একটি স্বপ্ন ছিল; রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। বিশ্বাস করি, সবার সহযোগিতায় সেই স্বপ্ন অনেকটাই পূরণ হয়েছে।’

রংপুর: করোনা মহামারির কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া সম্ভব না হলেও এবছর শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছে সরকার।

সকাল সাড়ে ১১টায় রংপুর জেলা স্কুল অডিটোরিয়ামে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর। এ সময় মাউশির রংপুর অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল মতিন লস্কর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফিরুজুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, জেলা শিক্ষা অফিসার এনায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছর রংপুর জেলায় প্রাথমিকে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৫০জনকে শিক্ষার্থীকে ২ কোটি ৩০ লাখ ৭ হাজার ৪০০ পাঠ্যবই এবং মাধ্যমিকে ৪ লাখ ৬ হাজার ৫১৬ শিক্ষার্থীকে ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৯৮৮ টি পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়।

রংপুর জেলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা ১ জানুয়ারি বই উৎসবের অপেক্ষায় থাকি। এদিন আমাদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়। নতুন বইয়ের সুগন্ধি আমাদের আকৃষ্ট করে পড়াশোনার উজ্জীবিত হওয়ার।’

ঠাকুরগাঁও: ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এই স্লোগান সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস উদযাপিত হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বি-আখড়া সৈয়দপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ উৎসব উদযাপন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনাংশু দত্ত টিটো।

ঠাকুরগাঁও জেলায় এ বছর মাধ্যমিক ও প্রাথমিক মিলে মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ৩৭ লাখ ৯০ হাজার ১৫৮ টি। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রাপ্তি ১৬ লাখ ২ হাজার ৯৮৪ টি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলে এ পর্যন্ত ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫০৪ টি বই বিতরণ করা হয়েছে।

এ বছর মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৫টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যায় ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫টি বই। এর মধ্যে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১১৫ টি বই বিতরণ করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৪৩৩টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে মোট ৪ লাখ ৪ হাজার ৩৮৯ টি বই প্রাপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুরে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব উদযাপন হয়েছে। পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনের বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই তুলে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী (এমপি)। এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সানের সভাপতিত্বে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ এসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, মাধবপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ছিদ্দিকুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন, প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মোছাব্বির হোসেন বেলাল, শিক্ষক সাইফুল হক মির্জা প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘বিশ্বের কোনো দেশেই বছরের প্রথম দিনে দেশব্যাপী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার উৎসবের আয়োজনের নজির নেই। এই নজিরবিহীন কাজটি বাংলাদেশে সম্ভব করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা উন্নয়নের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’

বরগুনা: জেলায় নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত বরগুনার শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া স্কুলে দীর্ঘদিন পর সহপাঠীদের দেখা পেয়ে আনন্দিত তারা। প্রথম দিনে বরগুনা জিলা স্কুল, বরগুনা সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বরগুনা দারুল উলুম নেসারিয়া কামিল (এম.এ) মডেল মাদ্রাসা, নাপিত খালি পঞ্চগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বছরের প্রথম দিনে বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে সরকারের বিনামূল্যের বই তুলে দিয়ে বই উৎসব উদযাপন করা হয়।

এদিকে নতুন বছর, নতুন ক্লাসে, নতুন বই হাতে পাওয়ার পর আনন্দিত ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা বলছে, বছরের প্রথমদিন বই হাতে পাওয়ার কারণে সিলেবাসটা দ্রুত শেষ করতে পারবে। ফলাফলও ভালো হবে।

বরগুনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আজ প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ ছাত্রীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হয়েছে।’

বরগুনা জিলা স্কুল এর প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বছরের প্রথম দিনে নতুন বই বাচ্চাদের দিতে পেরেও আমরা আনন্দিত।’

জয়পুরহাট: শহরের সরকারি রামদেও বাজলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বই উৎসবে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী ।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনোয়ার পারভেজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন খান চিশতী, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মণ্ডল।

জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী জানান, বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছে সরকার। একমাত্র শিক্ষাই পারে একটি দেশের পরিবর্তন করতে, দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। তাই মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তার এই সুফল আজকের বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে টাঙ্গাইলে বই উৎসব উদযাপিত হয়েছে। রোববার ( ১ জানুযারি ) দুপুর ১২ টায় জেলা সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন হায়দার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছরোয়ার হোসেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ অন্যরা।

জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১২ টি উপজেলায় ৫ লাখ ৫০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৯ লাখ ৭ হাজার ১১৮টি বই ও ৪ লাখ ৪০ হাজার মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫৭ লাখ ২৯ হাজার ৩০৯ টি বই বিতরণ করা হবে।

বান্দরবান: পাবর্ত্য জেলা বান্দরবানেও বছরের প্রথম দিন নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীদের মাঝে বই তুলে দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম। এ সময় বান্দরবান সদর উপজেলার ১০৮ প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে ২৪ হাজার ২৫১টি মাতৃভাষার বই বিতরণ করা হয়। বছরের প্রথম দিনে মাতৃভাষার বই পেয়ে খুশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

যশোর : নতুন বছর নতুন ক্লাস। আর তার সাথে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উচ্ছ্বসিত যশোরের শিক্ষার্থীরা। আজ বছরের প্রথম দিন বই উৎসবে জেলায় ২০ লাখ ২৭ হাজার টি বই বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে এ বই উৎসবের সূচনা করেন। এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ লাখ ২৭ হাজার এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ১২ লাখ বই বিতরণ করা হয়েছে। নতুন এ বই পেয়ে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

ছবি: সারাবাংলা

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে বই বিতরণ উৎসবে প্রাথমিক পর্যায়ে এক লাখ নব্বই হাজর এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে এক লাখ চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থীসহ মোট ৩লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী নতুন বই পেয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, ‘সারাদেশে প্রাথামিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য সরকার ৩৫ কোটি বই বিতরণ করছে।’

বই বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা জাহান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জ্যোতিশ্বর পাল, বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাজী মাকসুদা আহম্মেদ, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানুসহ শিক্ষার্থী এবং অভিভবকরা উপস্থিত ছিলেন।

নোয়াখালী: নোয়াখালীতে আনন্দগণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে বই উৎসব উদযাপিত হয়েছে। জেলার ২০০৩টি প্রাথমিক ও ৩১৩টি মাধ্যমিক এবং ২৭৫টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘জেলার ২০০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বইয়ের চাহিদা ছিল ১৭ লাখ ১২ হাজার ৫৫৭টি। যার বিপরীতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা ৩ লাখ নতুন বই হাতে পেয়েছি। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই রয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সব বই এখনও হাতে এসে পৌঁছায়নি।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘২০২৩ শিক্ষাবর্ষে জেলার ৩১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৭৫টি মাদ্রাসায় আমাদের নতুন বইয়ের চাহিদা ছিলো ৫৪ লাখ ১৭হাজার ৭৪৭টি। যার বিপরীতে আমরা নতুন বই সরবরাহ পেয়েছি ৩২ লাখ ৬৭ হাজার ২৮৫টি। বই উৎসবের মাধ্যমে প্রাপ্ত বইগুলো উপজেলা থেকে বিদ্যালয় ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাকি বইগুলোও পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

চুয়াডাঙ্গা: মানসম্মত শিক্ষা শেখ হাসিনার দিক্ষা’ এই স্লোগান সামনে রেখে সারা দেশের মত চুয়াডাঙ্গা জেলায় বই উৎসব উদযাপিত হয়েছে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় বই উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হতে বিনামূল্যের বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বই উৎসব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহাজাদী মিলি, উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার কুণ্ড, সহকারী শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল ইসলাম, আবিদ আজাদ, বি এম রফিকুল ইসলাম ও মাসুমা আক্তার।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চুয়াাডাঙ্গার সদর উপজেলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১১০টি, পাওয়া গেছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ২৭৫টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৬ লাখ ৭ হাজার ১০০টি, পাওয়া গেছে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ১৫০টি, দামুড়হুদা উপজেলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ২৭৫টি, পাওয়া গেছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৫০০টি ও জীবননগর উপজেলায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫০টি, পাওয়া গেছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৮০টি। এখনও ৪টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮০টি বই পাওয়া যায়নি।

নরসিংদী: রোববার সকাল ১১ টায় শহরের ভেলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুল্লাহ আল জাকি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বায়েজিদ খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী মোর্শেদ ও শিক্ষার্থীদের অভিবাবকরা। হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত অভিবাবকরাও।

বগুড়া: বছরের শুরুতেই বগুড়া বই উৎসবে মেতে উঠেছে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা। আজ সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও বিভিন্ন স্কুলে বই উৎসব চলছে। নতুন বই পেয়ে ছাত্র ছাত্রীরা খুশিতে মেতে উঠেছেন। রোববার সকাল ১০টায় বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজে বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিয়াম ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক কেন্দ্রীয় পরিচালক মোহা. আব্দুর রফিক।

বগুড়ায় এবার জেলার প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম (মাদ্রাসা ও কারিগরি এবং ইংরেজি মাধ্যম) শ্রেণি পর্যন্ত ৯ লাখ ১৩ হাজার ৫৭০জন শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৭৩ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪৭পিস বইয়ের।

চাহিদার বিপরীতে আজ শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বছরের শেষ দিন পর্যন্ত জেলায় বই এসেছে ৫৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৬৪টি। অর্থাৎ বই প্রাপ্তির হার শতকরা ৭৪ দশমিক ৪২ভাগ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে প্রাথমিক (প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি) শ্রেণির ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯২জন শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা রয়েছে ২০ লাখ ২ হাজার ২১২টি। এরমধ্যে বিতরণের জন্য এসেছে ১২ লাখ ৪৭ হাজার ১৯১টি। চাহিদার বিপরীতে ৬২ দশমিক ২৯ভাগ প্রাথমিকের বই এসেছে।

অপরদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, ষষ্ঠ থেকে নবম (দাখিল, এবতেদায়ী, কারিগরি, ট্রেড, ইংরেজি ভার্সন ও ব্রেল ভার্সন) শ্রেণির ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৫৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩৫টি বইয়ের। এর বিপরীতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বইয়ের প্রাপ্তি ছিল ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৭৩টি বইয়ের।

ছবি: সারাবাংলা

ময়মনসিংহ: করোনায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর শুরু হয়েছে বই উৎসব। ময়মনসিংহে ২০২৩ সালে জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়ে উৎসবের আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।

রোববার সকালে নগরীর কারীবাড়ি রোডের প্রিমিয়ার আইডিয়াল স্কুলে আয়োজিত বই উৎসবে প্রদানর অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু। তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্য বই তুলে দেন।

জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রাকিব উদ্দিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামসহ অন্যরা।

ময়মনসিংহে চার হাজার ৭১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ লাখ তেত্রিশ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নতুন বইয়ের লক্ষমাত্রা ৩৭ লাখ ৭২ হাজার। মাধ্যমিকে ৯৯৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮৬ মাদ্রাসা ও ৬১২টি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। তাদের মধ্যে ৭৮ লাখ বই বিতরণ করা হবে।

সারাবাংলা/একে

নতুন বই বই উৎসব বইয়ের ঘ্রাণ

বিজ্ঞাপন

আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস
২১ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১৬

আরো

সম্পর্কিত খবর