শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধের কৌশল গবেষণায় নতুন প্রকল্প
২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৩:১৮
ঢাকা: দেশে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোর্ড ইন্সটিটিউশন (আরএনএলআই) এবং ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ডের বোর্নমাউথ ইউনিভার্সিটি এর সহযোগিতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সিআইপিআরবি। প্রকল্পটি অর্থায়ন করছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার রিসার্চ (এনআইএইচআর)। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলায় গবেষণা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এই গবেষণার মাধ্যমে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে যাওয়ার প্রধান প্রধান কারণ ও সম্ভাব্য সমাধানগুলোকে গুরুত্ব অনুযায়ী সাজানো হবে। একইসঙ্গে এর কার্যকারিতা যাচাই করতে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং দু’টি অঞ্চলের কমিউনিটিতে এর গ্রহণযোগ্যতা ও উপযোগিতা যাচাই করা হবে।
বোর্নমাউথ ইউনিভার্সিটি পক্ষে গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক এডউইন ভ্যান তেজলিংজেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুটি আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এলাকায় কাজ করার মাধ্যমে আমরা আরও ভালভাবে বুঝতে পারব যে ভিন্ন পরিস্থিতি এবং পরিবেশের জন্য কোন ধরণের প্রতিরোধ ব্যবস্থা অধিক কার্যকর। পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণ ও পরিকল্পনা গ্রহণে এই গবেষণার ফলাফল সহায়ক হবে।
সিআইপিআরবি’র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর, ড. আমিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে কমিউনিটি ভিত্তিক শিশুযত্ন কেন্দ্র এবং জীবন রক্ষায় সাঁতার শেখানো কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের পানিতে ডুবা প্রতিরোধ সম্ভব । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই দুটি কার্যক্রমকে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় কম খরচে প্রতিরোধ যোগ্য সমাধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, সিআইপিআরবি’র গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা দুই ঘণ্টার বেশি শিশুযত্ন কেন্দ্রে থাকতে চায় না, যা তাদের ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের নিরাপদ রাখতে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম উদ্ভাবন, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, বিগত ১৮ বছর ধরে গবেষণা করে সিআইপিআরবি পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি কার্যকরী সমাধান আবিষ্কার ও বাস্তবায়ন করছে যার মধ্যে এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের নিরাপদ রাখতে মডেল ‘শিশুযত্ন কেন্দ্র’ পরিচালনা প্রকল্প অন্যতম। কিন্তু শিশুযত্ন কেন্দ্রগুলোতে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ভর্তি ও উপস্থিতির হার অনেক কম যারাই কিনা পানিতে ডুবে যাওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
সারাবাংলা/এসবি