হাইকোর্টে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আবেদন
২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৮
ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস হাইকোর্টে জামিন চেয়ে পৃথক পৃথক আবেদন করেছেন।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তাদের জামিন আবেদন উপস্থাপন করা হয়।
আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) শুনানির দিন ধার্য করে দেন।
আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মো. সগীর হোসেন লিওন প্রমুখ।
এর আগে নিম্ন আদালতে নামঞ্জুর হওয়ার ১১ দিন পর রোববার আদেশের কপি পান তাদের আইনজীবীরা। আদেশের কপি পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।
আইনজীবী মো. সগীর হোসেন লিওন বলেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন সর্বশেষ গত ২১ ডিসেম্বর নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। তবে আদালতের আদেশের কপি না পাওয়ায় এতদিন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা যায়নি।
এরপর গতকাল রোববার জামিন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশের কপি পেয়ে আজ জামিন আবেদন করা হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ নিজ বাসভবন থেকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর ডিবির কার্যালয় থেকে ৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৭ ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে মির্জা ফখয়ল ও মির্জা আব্বাসের জামিন চার বার নামঞ্জুর হয়।
এর মধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৫, ১২ ও ৯ ডিসেম্বর তিনটি আদালতে মির্জা ফখয়ল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ