Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএনপিকে মোকাবিলায় প্রস্তুত আওয়ামী লীগ: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৬

ফাইল ছবি

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিগত সময়ের মতো বিএনপি এবারও দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা করবে। তাদেরকে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দুটোই আওয়ামী লীগের আছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিনেমা হল মালিক সমিতি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

নতুন বছরে কি চ্যালেঞ্জ দেখছেন- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে যেটা চ্যালেঞ্জ, সেটি হচ্ছে বিরোধীদল বিএনপির সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং তার মিত্রদের দেশবিরোধী অপতৎপরতা। দেশবিরোধী অপতৎপরতা করতে গিয়ে বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছে এবং তাদের পদলেহন করছে। এগুলো করে তারা সরকারকে বেকাদায় ফেলতে চায়। কিন্তু সরকারকে বেকাদায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি নিজেই বেকাদায় পড়ে গেছে।

বেকায়দায় পড়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর তারা ভেবেছিল নয়াপল্টনের সামনে একটি সমাবেশ করতে পারবে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারবে। সেটি তারা করতে পারেনি। ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তি এবং সামর্থ্য কতটুকু। এরপরেও বিএনপি এ বছরও চেষ্টা করবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কিভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে সেটা আমরা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে দেখেছি, দেশবাসী দেখেছে। সেগুলো মোকাবেলা করা হয়েছে। সুতরাং তারা কি করতে চায় বা কি করতে পারে সেটি নিয়ে আমাদের ধারণা আছে এবং সেটিকে মোকাবেলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দুটিই আছে। মোকাবেলা করা সেটি আমাদের জন্য কঠিন কোনো কাজ নয়।

বছরে অন্তত ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি করে প্রদর্শন করতে চাচ্ছে হল মালিকদের সমিতি। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী জানান, যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পি সমিতি এবং প্রযোজক সমিতি- এ চারটি সমিতি যদি লিখিতভাবে দেয় (আবেদন) আমার কাছে, সবাই একসাথে যদি লিখিতভাবে দেয় আমাকে, তাহলে আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেবো। কিন্তু সবাইকে লিখিতভাবে দিতে হবে।

দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সরকার এরইমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। তার অন্যতম একটি পদক্ষেপ এক হাজার কোটি টাকায় স্বল্পসুদে ঋণ তহবিল। সেটির জন্য পঞ্চাশের অধিক দরখাস্ত পড়েছে বললেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি জানান, আমরা আশা করছি, সেগুলো তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে। আরও অনেকে দরখাস্ত করতে চাচ্ছেন। তাদের দিয়ে দরখাস্ত করিয়ে দিলে আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে বলে দেব।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, আমরা মনে করি, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে প্রেক্ষাগৃহের উন্নয়ন ও নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণে এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এই তহবিল বাস্তবায়নে ব্যাংকারদের অসহযোগিতা ও সিনেমা মালিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি কাটাতে আপনি (তথ্যমন্ত্রী) দু-তিনবার আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে আমরা দেশে অন্তত ৫০টি সিনেপ্লেক্স উপহার দিতে পারব।

তিনি বলেন, ‘পরান’ ও ‘হাওয়া’ সিনেমা ভালো ব্যবসা করেছে। কিন্তু এরপর আর কোনো ছবি নেই। এতে হলগুলোকে দৈনন্দিন খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারা অসহায় অবস্থায় আছে। সে ক্ষেত্রে হিন্দি সিনেমা আসলে কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে। দেশে বছরে ১০টি হিন্দি ছবি আনতে চাচ্ছে প্রদর্শক সমিতি। এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চাচ্ছি।

সারাবাংলা/ জেআর/ এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর