Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইসলামী আন্দোলন এখন আ.লীগ-বিএনপির নিরাপদ আশ্রয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৭

ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় কাউন্সিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি মন্তব্য করেন।

সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে মানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু এই রাজনীতির কারণে একজন আরেকজনকে হত্যা করে, জেলে রেখে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। কিন্তু ইসলামী আন্দোলন এ ধরনের হিংসার রাজনীতি, অশান্তির রাজনীতি পছন্দ করে না। বরিশালের চরমোনাইতে যখন আওয়ামী লীগ-বিএনপি সর্বত্র কাটাকাটি, মারামারি চলছিল, তখন আওয়ামী লীগের নেতারা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিভিন্ন কায়দায় চরমোনাইতে বহুদিন বসবাস করেছে। বিএনপির শত শত নেতাকর্মীও নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে চরমোনাইকে বেছে নিয়ে মাসব্যাপী বসবাস করেছে।’

‘আপনারা জানেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে যখন হিন্দুদের ওপর জুলুম নির্যাতন চলছিল, তখন তারা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে চরমোনাইকে বেছে নিয়েছিল। আজকে শান্তির যে দূত চরমোনাই, সেটিকে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে। এর জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে আজকের এই সম্মেলন। আজকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত হয়েছেন।’

দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের প্রতি যে তাদের (অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা) আন্তরিকতা, এই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় সম্মেলনে সেটি প্রমাণিত হয়েছে। আজকে জনগণ শান্তি চায়। ইসলামী আন্দোলন ছাড়া শান্তির কোনো বিকল্প পথ নেই। ইসলামী আন্দোলন এখন কিন্তু ছোট একটি দল নয়। এটি আমরা বলছি না, বিভিন্ন দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ বলে গেছেন। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে রংপুরবাসী।’

বিজ্ঞাপন

‘এখন আমাদের করণীয় কী? আপনারা আজকে যদি বসে থাকেন, যদি জমিন খালি থাকে, তাহলে সেখানে আগাছা জন্মাবে। সেই আগাছা দূর করতে ইসলাম নামক শান্তির বীজকে আমাদের রোপণ করতে হবে’— বলেন সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য সরকারঘোষিত সিলেবাস প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, ‘এ সিলেবাসের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই শিক্ষানীতিকে আজকের সম্মেলন থেকে প্রত্যাখান করছি। যে শিক্ষানীতিতে সুন্দর মানুষ তৈরি হয়, আমরা সেই শিক্ষানীতি চাই।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় সম্মেলনে দেশের ৮৭টি সাংগঠনিক জেলা, ৬৯১ টি উপজেলা, ১১৯টি সিটি থানা, ৬১টি সদর পৌরসভা, ৩৫১৯টি ইউনিয়ন এবং ১২ হাজার ৬৭০টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর ও সাধারণ সদস্যসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক অংশ নেন।

এছাড়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, জাতীয় সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টি (জাপা) গোলাম মসীহ, এস এম এস আলম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ইসলামী আন্দোলনের সম্মেলনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলটির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েব আমির মুফতি মোহম্মদ ফয়জুল করীম, অধ্যক্ষ মহাসচিব ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক আহমেদ আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড

ইসলামী আন্দোলন এখন আ.লীগ-বিএনপির নিরাপদ আশ্রয় টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর