ডিজিটাল অপরাধ দমনের দায়িত্ব সাংবাদিকদেরও: মোস্তাফা জব্বার
২ মে ২০১৮ ১৪:২৯
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: কেবল সরকারের নয়, ডিজিটাল অপরাধ দমন করার দায়িত্ব সাংবাদিকদেরও রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেনম ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে ডিজিটাল অপরাধ দমন করার আইন। এটা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কিংবা বাকস্বাধীনতা হরণ বা কোনো কিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তৈরি করা হয়নি।’
বুধবার (২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যমের বর্তমান চিত্র’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যমে দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সহযোগিতায় ছিল এমআরডিআই ও ফোয়ো মিডিয়স ইনস্টিটিউট।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চূড়ান্ত করতে দুই মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আইনটি চূড়ান্ত করতে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা গণমাধ্যম নেতাদের কাছেও এ বিষয়ে লিখিত মতামত চেয়েছি। সবার সম্মিলিত মতামত নিয়েই আইনটি পাস করা হবে।’ অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য কাজ চলছে বলেও এ সময় জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, এ আইনে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) বিতর্কিত যে বিষয়গুলো আছে, তা লাইন বাই লাইন আমি সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করব। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশের জনগণ রক্ষা করার জন্য, সাংবাদিকের হয়রানি করার জন্য নয়।
গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘সংবাদপত্র রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। প্রিন্ট মিডিয়ার দায়বদ্ধতা রয়েছে। কারণ তারা প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে প্রত্রিকা প্রকাশ করছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করতে হবে।’
ডিজিটাল অপরাধের মাত্রা বাড়ছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল মাধ্যমে অপরাধের ভয়বহতা বাড়ছে। বক্তিগত তথ্য চুরি হচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়া থেকে আমরা কেউই রক্ষা পাচ্ছি না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও বিরূপ মন্তব্য থেকে রক্ষা পাননি। আমরা সবাই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করি। কিন্তু ইন্টারনেটকে নিরাপদ রাখাটাই এখন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে অনেকেই ফেসবুক বন্ধ করার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু আমরা তা করিনি। কারণ, মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলা তো সমাধান না। তাই আমরা শক্ত হাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রকে দমন করেছি। এর সুফলও এরই মধ্যে পেয়েছি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত দেড়শ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমনওয়েলথ জার্নলিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।
সারাবাংলা/এআই/টিআর