সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৬
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চুতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবদনের সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আকতার পপি, পারভীন জামান কল্পনা, সৈয়দ আশরাফের বোন সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু ছিল অপ্রত্যাশিত। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিশীলিত ছিলেন তিনি। তার লোভ-লালসা ছিল না। নতুন প্রজন্মের কাছে তার আদর্শ অনুসরণীয়।’
সৈয়দ আশরাফ ছিলেন নির্লোভ, অনাড়ম্বর মানুষ হিসাবে তার আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফ ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিনি যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সৈয়দ আশরাফ ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি এক কন্যার জনক। তার স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ আশরাফ। তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম সংগঠক ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ ছাত্র জীবনে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ময়মনসিংহ জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।
সারাবাংলা/এনআর/ইআ
আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা টপ নিউজ মৃত্যুবার্ষিকী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম