ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেল ছাত্রলীগ
৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৭
ঢাকা: দীর্ঘ ২৮ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৯ সালে আলোর মুখ দেখেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ওই নির্বাচনের পর শিক্ষার্থীদের মাঝে আশা ছিল—অচলায়তন ভেঙে প্রতিবছর নির্বাচন হবে। কিন্তু সেই নির্বাচনের পর থেকে আবারও যেন অচলায়তনের ঘেরাটোপে আটকে গেছে ডাকসুর ভাগ্য। বন্ধ আছে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ের ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলো কথা বলে—এই রীতি প্রচলিত থাকলেও এ সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। এতে বছরব্যাপী ২০টির বেশি কর্মসূচির কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন হিসবে ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপর্যায়ে ছাত্র সংসদগুলো সক্রিয় করার বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো দাবি বা ভূমিকা থাকবে কি না— এমন প্রশ্ন করা হলেও উত্তর না দিয়েই সংবাদ সম্মেলনের ইতি টানেন ছাত্রলীগ নেতারা।
এর আগে, এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি নির্বাচন আয়োজনে দুটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলেছিলেন। তিনি জানান, জাতীয়ভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার সংস্কৃতির শক্তিশালী হলে এবং পাশাপাশি সব মহলের সহযোগিতা নিশ্চিত করা গেলে ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
দীর্ঘ ২৯ বছরের অচলায়তন ভেঙে ২০১৯ সালে মাঠে গড়িয়েছিল সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন। এতে করে প্রায় ২৯ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি পায়।
১১ মার্চের সেই নির্বাচনে মোট পঁচিশটি পদের মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) ও সমাজসেবা সম্পাদক ছাড়া বাকি ২৩টি পদেই জয় পায় ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা।
ওই নির্বাচনে সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সদস্য পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত জয় পেয়েছিলেন।
সারাবাংলা/আরআইআর/একে