Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

না খেয়ে কেউ মারা যায় না, বেশি খেয়েই মরে: খাদ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০০

ঢাকা: নিরাপদ ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, যত টেস্টি খাবার সেটি ততই অনিরাপদ। পরিমিত খাবার খেয়েও আপনি সারাদিন কাটাতে পারবেন। আমি কিন্তু না খেয়ে থাকার কথা বলছি না। না খেয়ে কেউ মারা যায় না, বেশি খেয়েই মারা যায়।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিমিত ও নিরাপদ খাদ্য খেতে হবে। অনেকেই কোন খাদ্যটি নিরাপদ তা জানে না বলেই আমাদের বেশি খাওয়ার এই প্রয়াস।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক পারিবারিক নির্দেশনার ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যতো টেস্টি খাবার ততোই অনিরাপদ। পরিমিত খাবার খেয়েও সারাদিন কাটাতে পারবেন। বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্যে যে খাবার সাজিয়ে দেয়, সেটি অনিরাপদ বলবো না, তবে সেটি খুব স্বাস্থ্যসম্মত তাও বলবো না। সেখানে খাবারের অপচয় হয়। না খেয়ে কেউ মারা যায় না, বেশি খেয়েই মারা যায়।

বেশ কিছু উদাহরণ তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অনেককে দেখেছি খেয়েই মারা গেছে। বিয়ে খেতে গিয়ে খাচ্ছে তো খাচ্ছেই, পরে সেই রাতেই স্ট্রোক করেছে। আরেক ছেলে হাসের মাংস খেয়ে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করেছে। এমন অনেক উদাহরণ আছে। তাই পরিমিত ও নিরাপদ খাদ্য খেতে হবে। অনেকেই কোন খাদ্যটি নিরাপদ তা জানে না বলেই আমাদের এই প্রয়াস। সবাই জানে কিন্তু খেতে খেতে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলেন।

তিনি বলেন, ভালো জিনিসের প্রচার ধীর হয়। খারাপ জিনিস সেকেন্ডের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষিক বিকৃতির যে অবস্থা তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তারপরেও এই নির্দেশিকাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে এর প্রসার ঘটে।

তিনি আরও বলেন, স্কুলে ক্লাসে যদি নিরাপদ খাদ্য ও মাদক সম্পর্কে পাঁচ মিনিট ক্লাস নেওয়া হয়, মসজিদ মাদরাসায় যদি নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জানানো হয়, তাহলে সেটি খুবই উপকারে দেবে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্দেশিকায় খাদ্য বাছাই ও ক্রয় সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এতে কাঁচা খাবার থেকে প্যাকেটজাত খাবার ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য, খাদ্যের মজুদ, ফ্রিজে কতোক্ষণ খাবার রাখা যাবে, কিভাবে রাখতে হবে সে তথ্য উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া খাদ্য প্রস্তুত ও রান্না করার সঠিক পন্থা সম্পর্কেও বইটিতে উল্লেখ রয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে আগামী বছরের মধ্যে ১০ লাখ নির্দেশিকা বিরতরণের লক্ষ্য রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এই নির্দেশিকার পিডিএফ ফাইলের লিংক পাওয়া যাবে। আর নির্দেশিকায় দেওয়া তথ্য সংশোধন ও পরিমার্জন হতে পারে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর