বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন বেড়েছে ৬০ থেকে ৭৩ শতাংশ
৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৩১
ঢাকা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী গর্ভবতীদের সন্তান জন্মদানের ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সি-সেকশন বা সিজার পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে। কিন্তু এলাকা বিবেচনায় আলাদাভাবে দেখা গেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ৭৫ শতাংশ থেকে ৮৮ শতাংশ ক্ষেত্রে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত মাত্রা বিবেচনায় দেখা যায় দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সিজারিয়ান অপারেশন বেড়েছে ৬০ থেকে ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত। এর মাঝে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শহর এলাকার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) এক জরিপ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সারাদেশে তৃতীয় বাংলাদেশ আরবান হেলথ সার্ভে (বিইউএইচএস) ২০২১-এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরে নিপোর্ট।
জরিপ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে জানানো হয়, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের বস্তি এলাকায় ৭৫ শতাংশ নারীদের বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়ে থাকে। এই সিটি করপোরেশনগুলোর বস্তি এলাকার বাইরের অন্যান্য স্থানের নারীদের ৮৭ শতাংশ সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়ে থাকে বেসরকারি হাসপাতালে।
দেশের জেলা ও উপজেলাগুলোর বেসরকারি হাসপাতালে ৮৮ শতাংশ ক্ষেত্রে নারীদের সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়ে থাকে বলেও জানানো হয় গবেষণায়।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সঠিক ডাটা পেলে কোন কাজ কতদূর এগিয়েছে সেটির চিত্র ফুটে ওঠে। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও করণীয় ঠিক করা সহজ হয়। আমাদের সবচেয়ে বড় সংকট জনবল। যে পরিমাণ দরকার তার তুলনায় খুবই কম। ফলে স্বাস্থ্যসেবা অর্জনে কষ্ট হয়। বস্তি ও অন্যান্য এলাকায় বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে মানুষ। একই সঙ্গে বিদ্যুৎও পাচ্ছে। তবে স্যানিটেশনে অনেক পিছিয়ে আছে।’
তিনি বলেন, ‘বস্তি এলাকায় জন্মহার কমছে। বস্তি ও দরিদ্র মানুষের মাঝেও বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। সবক্ষেত্রেই ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। বস্তি এলাকায় গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার হার বেড়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির হার বাড়লেও তা এখনো কিছুটা পিছিয়ে। সারাদেশে ৪ হাজার ইউনিট আছে। সেখানে ৮ ঘণ্টা নয়, ২৪ ঘণ্টা চালুর ব্যবস্থা করলে এ হার বাড়বে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবার মান বাড়াতে হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘গ্রামে অবকাঠামোগত উন্নত হওয়ায় শহরের মতোই সবকিছু পাওয়া় যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে মাইগ্রেশন কমেছে।’
সারাবাংলা/এসবি/একে