Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন নিলে বিএফ.৭ থেকে সুরক্ষা মিলবে

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:১৭

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপকরণ বলে পরিচিত বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছে। চীন থেকে আসা এক যাত্রীর নমুনা সিকোয়েন্সিংয়ে ধরা পড়েছে বিএফ.৭।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, বিএফ.৭ সাব-ভ্যারিয়েন্টটির সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা বিএ.৫’র তুলনায় চার গুণেরও বেশি। এ কারণে বিএফ.৭ সাব-ভ্যারিয়েন্টটিকে বলা হচ্ছে আর-১৮। অর্থাৎ, বিএফ.৭ আক্রান্ত একজন ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটির ইনকিউবিশন পিরিয়ড অনেক কম। অর্থাৎ, খুব কম সময়ের মধ্যে মানুষ আক্রান্ত হলেও অনেক দ্রুত সময়ে তা অন্যদের সংক্রমিত করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

নতুন এই উপধরনকে অতিমাত্রায় সংক্রামক বলে জানালেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কোভিড-১৯ প্রতিরোধের অন্যতম মূল বিষয়। যেহেতু চিকিৎসা প্রটোকলে কোনো পরিবর্তন নেই তাই ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেনো মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। একইভাবে ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমেও নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।

তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন নিলে বিএফ.৭ সহ যে কোনো ধরণের ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিএফ.৭ (Omicron BF.7) কী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনের একটি উপধরন হলো বিএফ.৭। এই উপধরনের সঙ্গে কোভিডের BA.5.2.1.7 প্রজাতির অনেক মিল রয়েছে। কোভিডের এই প্রজাতির মিউটেশন বা জিনের জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে আরও এক নতুন উপধরণের জন্ম হয়েছে।

ভাইরোলজিস্টদের মতে, সংক্রামক ভাইরাস যত বেশি মানুষের শরীরে ছড়াবে, ততই তার জেনেটিক সিকুয়েন্স বা জিনগত বিন্যাসের বদল হবে। মানুষের শরীরে ছড়াতে হলে ভাইরাসকে সংখ্যায় বাড়তে হবে, তাই দ্রুত তার বিভাজন হবে। আর যত বেশি বিভাজন হবে ততই ভাইরাস নিজেকে নতুন করে গড়েপিটে নেবে। সংক্রামক থেকে অতি সংক্রামক হয়ে উঠবে। ওমিক্রনের বিএফ.৭ এর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ওমিক্রন ইতোমধ্যেই ৩০ বার জিনের গঠন বদলে ফেলেছে। ফলে এটি খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। শুধু তাই নয়, ভাইরাসের এই প্রজাতিতে প্রোটিনের বিন্যাস এমনভাবে বদলেছে যে, রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর টেস্টকেও ফাঁকি দিতে পারে। কোভিড টেস্টেও ধরা পড়বে না এই স্ট্রেন। ওমিক্রনের মোট পাঁচটি উপধরণ শনাক্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত। এগুলো হলো–বিএ.১, বিএ.২, বিএ.৩, বিএ৪ ও বিএ.৫। এই তালিকায় নতুন সংযোজন বিএফ.৭।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিএফ.৭ উপধরনেই শেষ নয়, জিনের বদলের কারণে তৈরি নতুন আরেকটি উপধরণ তৈরি হতে পারে যা হয়তো আবার বদলাবে। ভাইরাসের এই মিউটেশন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

কতটা সংক্রামক নতুন এই উপধরণ?

‘সেল হোস্ট অ্যান্ড মাইক্রোব’ সায়েন্স জার্নালে ভাইরোলজিস্টরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের বাকি প্রজাতিগুলো থেকে এটি ৪.৪ গুণ বেশি সংক্রামক। আর চিন্তার ব্যাপার হলো, ওমিক্রনের এই উপপ্রজাতি বা সাব-ভ্যারিয়্যান্টকে সহজে ভ্যাকসিন দিয়ে কাবু করা যাবে না। মানুষের শরীরে খুব দ্রুত ছড়াতে পারবে এই প্রজাতি এবং শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার প্রতিরোধ শক্তিকেও ভেঙে দিতে পারবে অল্পদিনের মধ্যেই। কাজেই ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও সহজে একে পরাস্ত করা যাবে না।

বাংলাদেশে কি ছড়াতে পারে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনের নতুন উপপ্রজাতি বিএফ.৭ আরও বেশি সংক্রামক হয়ে উঠেছে। এই ভাইরাসের কারণে শুধু চীনেই যে সংক্রমণ সংখ্যা বেড়েছে তা নয়, গেল বছরের অক্টোবরেই আমেরিকায় পাঁচ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৭.২৬ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছিল। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই উপধরণ শনাক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই উপধরণ মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন বন্দরে স্ক্রিনিং বাড়ানো হয়েছে। বিএফ.৭ উপধরণ শনাক্ত হয়েছে এমন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের করা হচ্ছে অ্যান্টিজেন টেস্ট। আর অন্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের শুধু উপসর্গ থাকলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তকরণের পরীক্ষা করতে হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট মূলত ওমিক্রনেরই সাব-ভ্যারিয়েন্ট। সেখান থেকেই শাখা-প্রশাখাগুলো এসেছে। আর ভাইরাস পরিবর্তিত হয়ে যেটা বেশি সংক্রামক সেটাই টিকে থাকে, বাকিগুলো হারিয়ে যায়। এখন যেসব সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলো এসেছে সেগুলো আগেরগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রামক। সেগুলোই টিকে আছে ও সার্কুলেশনে আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি-১ এবং বিএফ-৭ শনাক্ত হয়েছে। এর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। এখন পর্যন্ত যারা ভ্যাকসিন নিয়েছে তাদের শরীরের মারাত্মক কোনো অসুস্থতা পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ তো আমরা কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে প্রথম থেকেই বলে আসছি।

ডা. মোস্তাক আরও বলেন, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সব ধরন এবং উপধরনই শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগকে আক্রান্ত করে। নাক ও গলা এগুলো আক্রান্ত হয়, ফুসফুসে যায় না। ফুসফুসে গেলে শ্বাসকষ্ট হবে, জীবন সংকটাপন্ন হতে পারে। যদি বয়স বেশি হয় বা আগের থেকে যেকোনো রোগে ভোগেন তাদের এটা হতে পারে। ক্ষতির ক্ষমতা গুরুতর না হলেও বেশি ছড়াচ্ছে। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা আক্রান্ত কম হচ্ছেন। তাদের ক্ষতির সম্ভাবনাও কম। তাদের মধ্যে এক ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। তাই ভ্যাকসিন নিয়ে গুরুতর অসুস্থতা ঠেকানো সম্ভব।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বহুদিন থাকে। যদিও দীর্ঘদিন তা পূর্ণমাত্রায় থাকে না। তাই ছয় মাস পর পর একটি ডোজ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে তৃতীয় ডোজ নেওয়ার সংখ্যা এখনও যথেষ্ট না। আর চতুর্থ ডোজ তাদের নেওয়া উচিত যাদের বয়সটা বেশি এবং বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। যারা হাসপাতালে কাজ করছেন, অর্থাৎ ফ্রন্টলাইনারদের ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া ভালো।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের নতুন উপধরন নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোতে সংক্রমণ প্রতিরোধে তৎপর হতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে পরিচালকের নেতৃত্বে ইনফেকশন প্রিভেনশন সংক্রান্ত আলাদা কমিটি রয়েছে। হাসপাতালে মাস্ক পরা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা নিয়ে তাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, আমরা জানি যে সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম জায়গা হলো হাসপাতাল। তাই কোনো সুস্থ রোগী হাসপাতালে এসে অন্য রোগীর সংস্পর্শে যেন সংক্রমিত না হয়। এটির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখন রাজনৈতিকভাবে অনেক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে তাই পরামর্শ হচ্ছে, সেগুলো যেন কোনো বদ্ধ স্থানে না করা হয়। সবমিলিয়ে বলব, স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রয়োজনীয় দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি মানুষের মাঝেও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। কারণ ভাইরাসের মিউটেশন হবেই। তাই নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরণ নিয়ে না ভেবে সবার প্রয়োজন সময় মতো ভ্যাকসিন গ্রহণ করা। হাত ধোঁয়ার অভ্যাসটা চালু রাখার পাশাপাশি মাস্ক পরার অভ্যাসটাও ধরে রাখতে হবে। এরসঙ্গে যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় তাহলে নিজেদের নিরাপত্তা মানুষ নিজেরাই নিশ্চিত করতে পারবে।

আইইডিসিআর’র পরিচালন অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন সারাবাংলাকে বলেন, ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেনো মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব। একইসঙ্গে সবাই যদি ভ্যাকসিন গ্রহণ করে তবে  কোভিড-১৯ সংক্রমিত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা কম থাকবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল বলেন, নতুন উপধরন নিয়ে আমরা ভীত নই। আমাদের সংক্রমণের হার বর্তমানে ১ শতাংশেরও কম। তবে নতুন উপধরনকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। সংক্রমণের হার যেন কোনোভাবেই বাড়তে না পারে, আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, নতুন উপধরনকে আমরা খুব ক্লোজলি মনিটর করছি। সংক্রমিত দেশগুলো থেকে যারা আসছেন, তাদের নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। পরীক্ষায় যাদের নমুনা পজিটিভ পাচ্ছি তাদের আইসোলেটেড করছি, আরটিপিসিআর করছি। এই কার্যক্রমগুলো আমাদের নিয়মিত চলছে।

অধ্যাপক ডা. নাজমুল আরও বলেন, আমরা আশা করছি সবাই ভ্যাকসিন গ্রহণ করে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের প্রাথমিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। হ্যাঁ, ভ্যাকসিন নিলে আক্রান্ত হবে না কেউ- এমনটা বলা যায় না। তারপরেও আমরা দেখেছি যারা ভ্যাকসিনের দুই ডোজও অন্তত নিয়েছেন তারা আক্রান্ত হলেও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর সারাবাংলাকে বলেন, ওমিক্রনের উপধরন বিএফ সেভেন খুব দ্রুত ছড়ায়। চীনে ব্যাপক সংক্রমণের পর শনাক্ত হয়েছে ভারতেও। তবে এই ধরনের জটিলতা কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

তিনি বলেন, দেশে এখনো দৈনিক করোনা শনাক্তের সংখ্যা পঞ্চাশের কম। তারপরও হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন ও মাস্ক পরার উপর। আমরা চতুর্থ ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছি। আশা করব সবাই ভ্যাকসিন নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। সেক্ষেত্রে আসলে ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেনো মানুষ নিজের সুরক্ষাটা অন্তত নিশ্চিত করতে পারে।

বিএফ.৭ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি ও নির্দেশনা

সম্প্রতি এক নির্দেশনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন ধরনের কোভিড-১৯ (বিএফ.৭) ভাইরাসের সংক্রমণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতন হতে হবে এবং নিম্নলিখিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

  • কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, জটিল রোগে আক্রান্ত এবং ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিসহ প্রাপ্ত বয়স্ক সবার জন্য কোভিড-১৯ এর সব ডোজ (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ) ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি।
  • ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও জটিল রোগে আক্রান্তসহ সবাইকে কোভিড-১৯ এর সব স্বাস্থ্যবিধি (যেমন- নাক মুখ ঢেকে মাস্ক পরা, ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা ও হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি) মেনে চলতে হবে। এছাড়া হাট-বাজার, মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়, বিয়ে, জন্মদিনসহ অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশসহ সব জনসমাবেশে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
  • বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করে সন্দেহভাজন যাত্রীদের কোভিড-১৯ র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে এবং পরীক্ষার ফল পজিটিভ হলে হাসপাতালে আইসোলেশন করা হবে।
  • বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের আগমনের ১৪ দিনের মধ্যে করোনার উপসর্গ (জ্বর, কাশি, শরীর ব্যথা ইত্যাদি) দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
  • কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরীক্ষা করতে হবে এবং আইসোলেশনে থাকতে হবে।

সারাবাংলা/এসবি/আইই

করোনা করোনাভাইরাস বিএফ.৭

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর