বাংলাদেশ বিষয়ে রাশিয়ার অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র
৫ জানুয়ারি ২০২৩ ০০:১৯
ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা নিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে রাশিয়ার অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। বরং রাশিয়ার অভিযোগকে রুশ প্রপাগান্ডা হিসেবে ওয়াশিংটন আমলে নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসিতে ২০২৩ সালের প্রথম ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এমন তথ্য জানান। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হয়রানি নিয়েও উদ্বেগ জানান।
১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহীনবাগে এক বিএনপি নেতার বাসায় যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম নিখোঁজ। তবে পিটার হাসের সেদিন পড়তে হয়েছিল বিব্রতকত পরিস্থিতিতে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২ ডিসেম্বর রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, পিটার হাসের শাহীনবাগে বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যাওয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের শামিল। পাশাপাশি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হওয়ারই কথা ছিল বলে জানায় রাশিয়া। তবে রাশিয়ার এই বক্তব্যকে আমলে নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র।
পিটার হাসের শাহিনবাগে যাওয়া ও রাশিয়ার মন্তব্যের বিষয়ে মার্কিন মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘এ বিষয়ে রাশিয়ার বক্তব্য আমলে নিচ্ছি না। আমরা এ ধরনের প্রপাগান্ডাকে গুরুত্ব দিই না। আমি আমাদের অবস্থান থেকে যা বলতে পারি তা হলো- যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উপস্থিতি আছে এমন প্রতিটি দেশে আমরা নিয়মিতভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে দেখা করি। এবং অবশ্যই এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি। আমরা বাংলাদেশের জনগণের মতপ্রকাশ, সমবেত হওয়া ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান ও রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। এসব আহ্বানের কথা আমার কাছ থেকে শুনেছেন, এই দফতর থেকে শুনেছেন এবং বাংলাদেশে আমাদের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকেও শুনেছেন। আমরা বিশ্বজুড়ে এই আহ্বান জানিয়ে যাব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে নেড প্রাইস বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সব দলকে আইনের শাসনকে সম্মান করার, সহিংসতা, হয়রানি, ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো দল বা প্রার্থী যাতে অন্য কোনো দল বা প্রার্থীর বিরূদ্ধে হুমকি, উসকানি না দেয় বা সহিংসতা না ঘটায় তা নিশ্চিত করতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা, হয়রানি ও হুমকি ছাড়াই ভোটারদের সঙ্গে সব প্রার্থীর সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ থাকা প্রয়োজন। যখন সহিংসতা, হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন, অযৌক্তিক আটকের খবর আসে, তখনই আমরা সরকারকে ওই খবরগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্তের আহ্বান জানাই।’
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম