Monday 21 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এই পুরস্কার আমার একার না, গোটা নারী সমাজের’


২ মে ২০১৮ ১৭:১৯

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে গ্লোবাল উইমেন’স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০১৮-এ ভূষিত করা হয়েছে, তা তার একার নয়, গোটা নারী সমাজের বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই পুরস্কার আমার একার নয়, এই পুরস্কার গোটা নারী সমাজের। সে কারণেই এই পুরস্কার আমি সারাবিশ্বের নারী সমাজকে উৎসর্গ করেছি।

বুধবার (২ মে) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফরের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরতে বুধবার বিকাল ৪টায় এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবকিছু আইন করে করা যায় না। অনুশীলনের মাধ্যমে, চর্চার মাধ্যমে অর্জন করে নিতে হয়। দৃষ্টিভঙ্গীর ওপর অনেককিছু নির্ভর করে।

আমাদের সমাজ একসময় অত্যন্ত রক্ষণশীল ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমবার যখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন করে দিলাম, সেই নির্বাচনে নারীদের অংশ নেওয়া বা না নেওয়া নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক ছিল। জামায়াতে ইসলামীসহ অনেক রাজনৈতিক দল এর প্রতিবাদ করেছে। অথচ ওই নির্বাচনে ১২ হাজার পদের বিপরীতে ৪৫ হাজার নারী অংশ নিয়েছিলেন। যারা একসময় নারীদের সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের প্রতিবাদ করেছিলেন, তারাই একসময় রাতের অন্ধকারেও এই নারীদের পক্ষেই প্রচারণায় অংশ নিয়ে ভোট চাইলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  কোনো পরিবর্তনই একবারে আসে না। আমরা যখন মেয়েদের খেলাধুলা নিয়ে উদ্যোগ নিলাম, তা নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। রাজশাহীতে তো ফুটবল টুর্নামেন্ট হতেই পারল না। এই ধরনের মানসিকতা একসময় মানুষের ছিল। সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসার জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। জাতির জনক বলতেন, নারীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। তাহলেই তারা সব ক্ষেত্রে কথা বলার সুযোগ পাবে। আমরা সেই চেষ্টা করেছি। বয়স্ক ভাতা চালু করেছি, বিধবা ভাতা চালু করেছি, স্বামী পরিত্যক্তাদের জন্য ভাতা চালু করেছি। একসময় জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষিত ছিল, এখন রয়েছে ৫০টি। এর বাইরেও কিন্তু সরাসরি নির্বাচনে ২২ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য আমাদের রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত কথা হলো- কেবল আইন করে সবকিছু হয় না। অনুশীলনের মধ্য দিয়ে, কাজের মধ্য দিয়ে নারীদের ক্ষমতায়ন বাস্তবায়ন করতে হবে। মনের জোর, আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো কিছুই অর্জন করা যেতে পারে। আমি যখন রাজনীতি শুরু করি, তখন অনেকেই বলেছে, কোনো নারী সরকারপ্রধান হতে পারবে না। কিন্তু সেই চিত্র বদলে গেছে। এখন নারী নেতৃত্ব সবাই মেনে নিয়েছেন।

নারীর ক্ষমাতয়নে বাংলাদেশ অনেক দেশ থেকে এগিয়ে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশ থেকেই এগিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র অনেক উন্নত দেশ। কিন্তু সেই দেশেও আজ পর্যন্ত কোনো নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দেশ থেকেই এগিয়ে। এটা বিশেষ ক্ষমতাবলে হবে না, এটা নারীদের কাজের মাধ্যমে অর্জন করে নিতে হবে। তবেই সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় মজা করেই বলেন, তখন তো আবার পুরুষ অধিকার আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। সেই আন্দোলনে আমিও আপনাদের পাশে থাকব।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

আরও পড়ুন-

‘ছাত্রলীগে মেধাবী নেতৃত্ব বাছাইয়ে সমঝোতা না হলে ভোট’

আন্তর্জাতিক ফোরামে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

১০ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ
২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪০

সম্পর্কিত খবর