শীতে কাঁপছে ঝুপড়ির হতদরিদ্ররা, প্রত্যাশা গরম কাপড়ের
৭ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৫
কক্সবাজার: জেঁকে বসেছে শীত। এতে মানবেতর দিন কাটছে হতদরিদ্রদের। শীতের তীব্রতায় ভোগান্তিতে থাকা এমনই এক এলাকা হচ্ছে কক্সবাজার শহরের সমুদ্র পাড়ের ঝাউবাগান। সেখানে অস্থায়ী ঝুপড়ি বস্তিতে ৫০টির বেশি পরিবার রয়েছে। তারা ঝাউবাগানের নিচে পলিথিন আর বেড়া দিয়ে ঝুপড়ি ঘর করে বসবাস করে। এতে এই মানুষগুলো হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে শীতের তীব্রতা। তাদের মধ্যে বেশি কষ্টে আছে শিশু ও বৃদ্ধ। তাদের প্রত্যাশা একটি গরম কাপড়ের।
সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দিন এনে দিনে খাওয়া এই মানুষগুলো এমনিতে কষ্টে আছেন। তার মধ্যে তীব্র শীত। এদিকে নেই গরম কাপড়। সবমিলে কষ্ট যেন দ্বিগুণ।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যেখানে প্রতিবেলা খাবারের টাকা যোগাতে হিমসিম খেতে হয় সেখানে গরম কাপড় কেনা যেন দুঃসহ ব্যাপার। এই মুহূর্তে তাদের চাওয়া একটি কম্বল অথবা গরম কাপড়। হোক সেটা ব্যক্তিগত অথবা সরকারিভাবে।
পাড়ার রাবেয়া খাতুন নামে এক বৃদ্ধা জানান, বেড়ার ঘর হওয়াতে বিকালের পর থেকে ঠাণ্ডা লাগতে শুরু করে। গমর কাপড় বলতে পুরাতন একটি গেঞ্জি আছে। তাও পাতলা হওয়াতে ঠাণ্ডা মানে না। এছাড়া রাতে ঘুমানোর জন্য যে কাঁথাটি রয়েছে তাও পাতলা। এই শীতে তার খুবই কষ্ট হচ্ছে।
রফিকুল ইসলাম নামে একজন জানান, প্লাস্টিক কুড়িয়ে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে কোনভাবে জীবন চলে। তার ৫ সন্তানের মধ্যে ২ জনেরই ঠাণ্ডা লেগেছে। তার মধ্যে নেই গরম কাপড়। পরিবারের খাবারের টাকা যোগাতে গিয়ে তার হিমসিম খেতে হচ্ছে। তার মধ্যে গরম কাপড় কেনা তার জন্য অনেক কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লিয়াকত মিয়া নামে এক বৃদ্ধ জানান, তারা গরীব মানুষ। তাদের কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ায় না। অর্থের অভাবে এমননিতে অনেক কষ্টে আছেন। তার মধ্যে শীত এই কষ্টকে বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ।
স্থানীয় কাউন্সিলর (১১ নং ওয়ার্ড) নুর মোহাম্মদ মাজু জানান, যখনই গরম কাপড় বা কম্বল আসবে ওয়ার্ডের হতদরিদ্রদের দেওয়া হয়। তবে চাহিদা অনুযায়ী পরিমানে কম হওয়ায় অনেক সময় সবাইকে দেওয়া যায় না। তবে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
নতুন হোক বা পুরাতন, গরম কাপড় দিয়ে শীতার্তদের সহযোগিতা করা যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়াবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সারাবাংলা/এমও