Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪ বছরে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ২০২২-এ, মোটরসাইকেলেই ৩০৯১

সারাবাংলা ডেস্ক
৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:২৯

ঢাকা: দেশে ২০২২ সালে ৬ হাজার ৮২৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ৭১৩ জন, আর আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৬১৫ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৩ জন শিশু ও ১ হাজার ৬১ জন নারী রয়েছেন। একই সময়ে ২ হাজার ৯৭৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৯১ জন নিহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৪০ দশমিক ০৭ শতাংশ।

এদিকে গত ৪ বছরের মধ্যে ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালে ৪ হাজার ৬৯৩টি দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ২১১ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০২০ সালে ৪ হাজার ৭৩৫টি দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৪৩১ জন নিহত হয়েছিলেন। আর ২০২১ সালে ৫ হাজার ৩৭১টি দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ২৮৪ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ২০২২ সালের সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে দেশে ৬ হাজার ৮২৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ হাজার ৭১৩ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৬১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৩ শিশু ও ১ হাজার ৬১ জন নারী। আর ২৯৭৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৩ হাজার ৯১ জন, যা মোট নিহতের ৪০ দশমিক ০৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৬২৭ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যা মোট নিহতের ২১ দশমিক ০৯ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৬৪৮ জন, অর্থাৎ ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

একই সময়ে ১৯৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩১৯ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৭৩ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৯২ জন। এক বছরে ৩৫৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩২৬ জন নিহত এবং ১১৩ জন আহত হয়েছেন বলে রোড সেফটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ৩ হাজার ৯১ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ৪০ দশমিক ০৭ শতাংশ। বাস যাত্রী ৪২৭ জন, যা ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি আরোহী ৪৫৩ জন, যা ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ যাত্রী ২৬৮ জন, যা ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক-টেম্পু-লেগুনা) ১২৪৮ জন, যা ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-চান্দের গাড়ি-বোরাক-মাহিন্দ্র-টমটম) ৩৯৩ জন, যা ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ২০৬ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

এসব দুর্ঘটনার জন্য ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে দায়ী করা হয়।

দেশে যথেষ্ট উন্নত সড়ক অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। ফলে নানা প্রকার যানবাহন যেমন বেড়েছে, তেমনি যানবাহনের গতিও বেড়েছে। কিন্তু গতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাব বা প্রযুক্তি ব্যবহারে অনিচ্ছার কারণে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে বলে রোড সেফটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সারাবাংলা/এনএস

টপ নিউজ সড়ক দুর্ঘটনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর