‘ভারত তোষণের কারণেই সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয় না’
৭ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৪৯
ঢাকা: বাংলাদেশ রাজনৈতিক দলগুলোর ভারত তোষণ নীতির কারণেই সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারত তোষণনীতির কারণেই সীমান্তহত্যা ও নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ভারত সীমান্তহত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন সম্পর্কে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে মনে হয় না তারা বাংলাদেশের মন্ত্রী, মনে হয় তারা ভারতীয় জনপ্রতিনিধি।’
সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যার উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা ভারতের আগ্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। ভারতকে সীমান্ত আগ্রাসন, বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে সরকার দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। সীমান্তে বাংলাদেশি জনগণ নিজেদের স্বাধীন ভূ-খণ্ডে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা ও কৃষি কাজ করতে পারছে না। ৭ জানুয়ারি ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা।’
লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিকদের বিএসএফ বিনাবিচারে হত্যা করে, যা অমানবিক। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্ত্র হাতে ভারতীয় বিএসএফ বারবার ঢুকে পড়ে, যা আমাদের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ভারতের সঙ্গে চীন, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তানের সীমান্ত থাকলেও শুধু বাংলাদেশ সীমান্তে তারা অমানবিকভাবে হত্যা করে, যা খুবই দুঃখজনক, ন্যাক্কারজনক এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।’
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ও আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব নুরুজ্জামান হীরার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সমন্বয়কারী মোস্তফা জামাল মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, লেবার পার্টির মহাসচিব ফারুক রহমান, জাগপা মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাসেদ খান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপন, নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামিম, মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আমিন, লেবার পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন ও ছাত্রমিশনের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/একে