খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্মরণে সুপ্রিম কোর্টে শোকবহি উন্মোচন
৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩১
ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্মরণে শোকবহি উন্মোচন করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির শোকবহি উন্মোচন করেন। পরে তিনি প্রয়াত আইনাজ্ঞন সম্পর্কে তার মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
শোক বইতে মমতাজ উদ্দিন ফকির লেখেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন স্যার ছিলেন আইন জগতের দিকপাল। এই উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ আইনজীবীদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইনবিদ ছিলেন তিনি। তার আইনিপেশায় এই দেশের রাষ্ট্র, আইনজীবীসহ বহু সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে। তার অবদান এই দেশের মানুষ কখনও ভুলতে পারবে না। আমি তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। আল্লাহ তাকে যেন বেহস্তবাসী করেন।
সভাপতির পর শোক বইতে প্রিয় আইনজীবী সম্পর্কে লেখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল। এরপর সাধারণ আইনজীবীরা শোক বইতে তাদের খন্দকার মাহবুব হোসেন সম্পর্কে তাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও স্মৃতির কথা তুলে ধরেন।
শোক বই উন্মোচনের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির।
তিনি বলেন, ‘খন্দকার মাহবুব হোসেন আমাদের অভিভাবক ছিলেন। তিনি আমাদের অণুস্মরণীয়, আমরা তাকে অনুস্মরণীয় করি। ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে তার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন, সেজন্য আজকে আমরা এই শোক বই উন্মোচন করেছি।’
বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল বলেন, ‘তিনি একজন গণতন্ত্র পূজারী মানুষ ছিলেন। মৃত্যুর আগে বৃদ্ধ বয়েসেও তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশ নিয়ে জেলে গেছেন। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন কায়েমের জন্য তিনি আমৃত্যু চেষ্টা করেছেন।’
এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেনের রুহের মাগফেরাত কামনা করে আইনজীবীরা দেওয়া করেন।
পরে আইনজীবী আবেদ রাজা দোয়া পরিচালনা করেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মো. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, শাহ মনজুরুল হক, মো. শিশির মনির, মাসুদ রানাসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ৩১ ডিসেম্বর রাত পোনে ১১টা রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ বরগুনার বামনায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা খন্দকার আবুল হাসান ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৪ সালে আইন পাস করে তিনি আইন পেশায় যুক্ত হন। ১৯৮৮ সালের ১৭ জুলাই তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। আইনজীবী হিসেবে তিনি অসংখ্য যুগান্তকারী মামলা পরিচালনা করেছেন।
তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে চারবার নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইবার দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে অধ্যাপিকা ফারহাত হোসেনকে বিয়ে করেন। দুই ছেলে ও এক কন্যা রেখে গেছেন তিনি।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ
