‘এলডিসি পরবর্তী বাণিজ্য সম্প্রসারণে কৌশল নির্ধারণ জরুরি’
৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৫২
ঢাকা: এলডিসি পরবর্তী বাণিজ্য সম্প্রসারণে কৌশল নির্ধারণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নব-নির্বাচিত সভাপতি মো. সামীর সাত্তার।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিসিআই প্রতিনিধি দল নিয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী তিন বছর পণ্য রফতানিতে শুল্ক সুবিধা পাওয়া গেলে, আমাদের রফতানি সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় দেশ ও আঞ্চলিক দেশগুলোগুলোর সঙ্গে এফটিএ, পিটিএ ও সেপাসহ অন্যান্য চুক্তি সইয়ের ওপর আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে। বর্তমান সরকার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।’
টিপু মুনশি বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের ‘ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজার্স (আইএসএমএস)’ বিষয়ক সুবিধা আদায়ের জন্য দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশ রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা হতে বঞ্চিত হবে এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রফতানিতে ৮ থেকে ১৬ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে। এমন প্রেক্ষিতে আমাদের রফতানির ধারাকে অব্যাহত রাখতে সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই, প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও সংস্কার এবং স্থানীয় শিল্পখাতের প্রস্তুতি প্রভৃতি বিষয়ে কার্যকর কৌশল নির্ধারণ জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানের আমাদের রফতানির বাজার অধিক মাত্রায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল, তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকায় নতুন নতুন বাজারে পণ্য রফতানিতে আরও বেশি হারে নজর দিতে হবে। সেইসঙ্গে এলডিসি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে রপ্তানি সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’
বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে ডিসিসিআই সভাপতি একটি পৃথক ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ গঠনের প্রস্তাব করেন। যার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে বাণিজ্যবিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে এবং ‘আরবিট্রেশন অ্যাক্ট ২০০১’-এর প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম