ঘরে ঢোকা ‘আগন্তুক’ ও তার বন্ধুদের হামলায় গৃহকর্তার মৃত্যু
১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একদল যুবকের ‘হামলায়’ এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধের বাড়িতে আকস্মিভাবে ঢুকে পড়া এক আগন্তুক যুবককে আটকে রাখা হলে তাকে ছাড়াতে আসা বন্ধুদের হামলায় বৃদ্ধ মারা যান।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ্দ কেঁওচিয়ার খোন্দকার খীল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মোহাম্মদ ইউসুফের (৭০) বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারদোনা এলাকায়। তবে তিনি পরিবার নিয়ে খোন্দকার খীল এলাকায় থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় আনুমানিক ২৭/২৮ বছর বয়সী এক যুবক ইউসুফের ঘরে ঢুকে পড়েন। ইউসুফের পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আটক করেন। ওই যুবক তার নাম শওকত এবং বাড়ি পার্শ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে জানিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু লোকজন স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খবর দিয়ে তিনি না আসা পর্যন্ত তাকে আটক রাখার কথা জানান।
তখন শওকত মোবাইলে তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ছয়-সাতজন যুবক আধাঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে আসেন। তারা শওকতকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের কিল-ঘুষি ও ধাক্কায় ইউসুফ মাটিতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক ইউসুফকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইউসুফ কিংবা তার পরিবারের সদস্যরা কেউই শওকত নামের যুবকটিকে চিনতেন না। হঠাৎ ঘরে ঢোকার কারণ জানতে চাইলে ওই যুবক অসংলগ্ন জবাব দেন। এতে সন্দেহ হয় যে, যুবক সম্ভবত চোর। তখন তাকে আটক করে সম্ভবত হেনস্থা করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শওকত আরও ৬-৭ জন যুবককে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, শওকত ও তার বন্ধুদের কিল-ঘুষি ও ধাক্কায় মাটিতে পড়ে গিয়ে মাথার ভেতর রক্তক্ষরণ হওয়ায় ইউসুফের মৃত্যু হয়েছে ‘
‘খবর পেয়ে আমরা রাতেই ঘটনাস্থলে যাই। রাতে হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে প্রথমে থানায় রাখা হয়। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। শওকত ও তার বন্ধুদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তবে এখনও মামলার এজাহার বা কোনো অভিযোগ নিয়ে নিহতের পরিবারের কেউ থানায় আসেননি।’- বলেন ওসি ইয়াসির আরাফাত
সারাবাংলা/আরডি/ইআ