Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৩ জানুয়ারি চালু হবে বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫২

ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে ২৩ জানুয়ারি থেকে। ওদিন থেকে রোগী ভর্তিসহ পুরোদমে কাজ শুরু করা হবে হাসপাতালটির।’

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য সরকারের নেওয়া উদ্যোগ তুলে ধরেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর বিএসএমএমইউ’র নব নির্মিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময়ে মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা ওয়ার্ড পর্যায়ে আছে। চার রুমের কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে। ডায়াবেটিক রোগীদের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা সেবা ২৪ ঘণ্টা করা হয়েছে। দেশের ৩০টি ৩১ শয্যার হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। ৫০ শয্যার হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে, যার সংখ্যা ১১টি। আবার ১১০ থেকে ২৫০ শয্যা করা হয়েছে ৫টি হাসপাতাল।’

জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘ট্রেনিং সেন্টার ও ইনস্টিউটের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বার্ন ইনস্টিউট, গ্যাস্ট্রলিভার ইনস্টিটিউট, ৪০০ বেডের হৃদরোগ ইনস্টিউট ১ হাজার ২০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। মেন্টাল হেলথ ইনস্টিউট দ্বিগুণ করা হয়েছে, ক্যান্সার ইনস্টিউটের শয্যা বাড়ানো হয়েছে। পাঁচটি মেডিকেল কলেজ নতুন করে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরও ৫টির কাজ চলমান।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের শয্যা বাড়িয়ে ১ হাজার করা হয়েছে। ন্যাশনাল নিউরো মেডিসিন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। ডিএমসির (ঢাকা মেডিকেল কলেজ) ৫ হাজার শয্যায় উন্নীত করা হবে।’

হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার সুব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটার জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, শিগগিরই কাজ শুরু হবে। আট বিভাগে ৮টি কিডনি ও ক্যান্সসার বিশেষায়িত হাসপাতাল করা হচ্ছে। এছাড়াও ৮টি বার্ন ইনস্টিউট নির্মাণ করে হবে। জেলা হাসপাতালগুলোতে আইসিউ’র ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৪টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলমান। করোনার মধ্যে ১৫ হাজার ডাক্তার, নতুন ২০ হাজার নার্স ও ১০ হাজার অন্যান্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনার মধ্যে মেডিকেলের শিক্ষা সংক্রান্ত সকল পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আসন বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ২০০টি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশন করা হবে। সকলের জন্য স্বাস্থ্য কার্ড থাকবে। এরইমধ্যে এটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। মানসিক ও স্কিনের জন্য আলাদা হাসপাতাল করা হবে। হাসপাতালের অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি পর্যাপ্ত থাকলেও এখনো জনবল সংকট রয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের জন্য মোট ৬ লাখ লোকের দরকার, কিন্ত আছে ৩ হাজার। ইনস্টিউশনাল প্রাকটিস বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওষুধে যেন ভেজাল না হয়, ভেজাল ডাক্তার যেন না আসে— এদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’

করোনাকালে মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে সফল হয়েছেন উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভ্যাকসিন তৈরি করতে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবায় ভালো করার বিশ্ব স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। এশিয়ায় সর্বোচ্চ স্থানে বাংলাদেশ। এটা অনেক বড় সফলতা। ওই সময় অনেক সমালোচনা হয়েছে। কেউ কেউ না বুঝে করেছেন। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করে আমরা কাজ করে গেছি। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও অনেক সহযোগিতা করেছে। এ বিষয়গুলো আমাদের অনেক উপকারে আসবে।’

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর