Thursday 28 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণঅবস্থান থেকে দেশব্যাপী সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৮

ঢাকা: বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী ১৬ জানুয়ারি সারাদেশে মহানগর সদর, জেলা শহর, উপজেলা ও পৌরসভায় সমাবেশ ও মিছিল করবে দলটি।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘১০ দফা দাবি আদায় এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমাদের এ কর্মসূচি।’
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের এ কর্মসূচি কি সফল হবে, আমরা এ কর্মসূচি কি সফল করতে পারব?’ জবাবে নেতাকর্মীরা হাত তুলে সমস্বরে জবাব দেয়, ‘হ্যাঁ, পারব’।

এর আগে, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিনসহ ১০ দফা দাবিতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান গ্রহণ করে। আর বিএনপির শীর্ষ নেতারা অবস্থান নেন মূল মঞ্চে।

সদ্য কারামুক্ত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেলা ১১ টা ৫০ মিনিটে নয়াপল্টনের গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন। এর ১৫ মিনিট পর গণঅবস্থান কর্মসূচি মঞ্চে আসেন সদ্য কারামুক্ত আরেক নেতা দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আগে থেকেই মঞ্চে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র নেতা ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া এ গণ-অবস্থান কর্মসূচির কারণে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নয়াপল্টন সড়কের দক্ষিণ এবং উত্তর পাশের লেন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে। তবে দুপুর ১২ টার দিকে সিনিয়র নেতারা মঞে উপস্থিত হওয়ার পর সড়কের উত্তর পাশ ফাঁকা করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। মঞ্চের এই আহ্বানের প্রেক্ষিতে দুপুর সোয়া ১২ টায় পুলিশের সহায়তায় সড়কের উত্তর পাশ দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় যেসব শর্ত সাপেক্ষে গণ-অবস্থান কর্মসূচির অনুমোদন দেয় ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সেগুলোর মধ্যে ছিল সড়ক অবরোধ না করে ফুটপাতে এই গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করা। বিএনপি নেতারাও বলেছিলেন- জনদুর্ভোগ এড়াতে ফুটপাত ধরে সড়ক বিভাজক পর্যন্ত সড়কের একটি অংশে তারা অবস্থান নেবেন। কিন্তু মাঝের জায়গা ফাঁকা রেখে সড়ক প্রবেশ পথ বন্ধ করে সকাল থেকে সেখানে অবস্থান করছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে গণঅবস্থানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাস ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুল কুদ্দুস, আফরোজা খানম রীতা, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।

গণ-অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে। এরপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন জাসাস শিল্পীরা।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনে, ১২ দলীয় জোট বিজয়নগর পানির ট্যাংক, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট পুরানা পল্টন প্রীতম হোটেলের উল্টো দিকে, এলডিপি কারওয়ান বাজার এফসিডি সংলগ্ন এলডিপি অফিসের সামনে, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য জোট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পূর্বপ্রান্তে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

গণঅবস্থান বিএনপি সমাবেশ কর্মসূচি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর