একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গোটা জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ: ফখরুল
১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩১
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা আদয়ে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে পুরো জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ। জনগণ জেগে উঠেছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা জেগে উঠেছে। গণমাধ্যমও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য ভূমিকা রাখছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি ও সমমনাদের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে পূর্বঘোষিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্যাতনকারী হিসেবে এ সরকার টিকে রয়েছে। নির্যাতন, নিপীড়ন, অত্যাচার ছাড়া এরা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। বিরোধী মত ও পক্ষের ওপর নির্যাতন, নিপীড়নই এদের একমাত্র রাজনৈতিক পুঁজি। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না। আজ সব রাজনৈতিক দল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য এক হয়েছে। সুতরাং এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ আর পারছে না। তারা চাল কিনতে পারে না, খাদ্য কিনতে পারে না। অন্যদিকে, ওয়াসার এমডি আমেরিকায় ১৪টি বাড়ি কেনে। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। তারা (সরকার) সব ব্যাংক লুট করে ফোকলা করে দিয়েছে। সরকারের লুটের রাজ্য গড়ে তুলেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে রক্ষা করতে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এ জালিমশাহী সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের লক্ষ্য হচ্ছে সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে আবারও একদলীয় শাসন কায়েম করা। আমরা সেটা হতে দেব না। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপি অফিসে পুলিশ ডাকাতের মতো হামলা করে আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। লুটপাট চালিয়েছে পার্টি অফিসে। এগুলো করেছে আমাদের ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণ সমাবেশ বানচাল করার জন্য। কিন্তু সরকারের কূটকৌশল বাস্তবায়ন হয়নি। ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ সকল বাধা উপেক্ষা করে গণসমাবেশ সফল করে সরকারের অন্যায়ের জবাব দিয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, আফরোজা খান রিতা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম আহবায়ক লিটন মাহমুদ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম