অনেকে এনজিওর বিকাশ চায় না: এডাব
১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৮
ঢাকা: দেশে কার্যক্রম চালানো বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর (এনজিও) সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান এডাব বলেছে, অনেকেই চায় না এনজিওগুলো বিকশিত হোক। নতুন নতুন আইন করে ও নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করে কার্যক্রম থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে অনেক এনজিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা অনেকেই কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। ফলে দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার অগ্রপথিক হওয়া স্বত্বেও সংকটের মুখে পড়েছে এই খাত। পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা চান তারা।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে সেগুনবাগিচার বাগিচা রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘এনজিওদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততা’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে এমন দাবি উঠে আসে। এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ (এডাব) কর্তৃক আয়োজিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারপারসন আব্দুল মতিন।
আবদুল মতিন বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে এনজিওদের ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। বর্তমানে দেশের বাজারে এনজিওদের দ্বারা ১ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকার প্রবাহ রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পরেও নানাভাবে এনজিওদের কার্যক্রমের স্বীকৃতি নাই। অথবা বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।’
সভায় উপস্থিত এনজিওর প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো বিদেশ থেকে নিজ উদ্যোগে ফান্ড ম্যানেজ করে স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করে। কিন্তু দেখা যায় সমাজসেবা অধিদফতর, জেলা প্রশাসকের দফতর থেকে অসহযোগিতা, অনিয়ম ও ঘুষ-দুর্নীতির কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না তারা।
তারা আরও জানান, এনজিওদের সহযোগিতার জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে দেশে- সমাজসেবা অধিদফতর, এনজিও ব্যুরো ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি। কিন্তু এসব সংস্থার মধ্যেও রয়েছে সমন্বয়ের অভাব। এডাব তাদের সঙ্গে বারবার বসতে চাইলেও কেউ রাজি হচ্ছে না। ফলে সরকারের সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এডাব সদস্যরা।
১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এডাব প্রধানত স্থানীয় ও জাতীয় এনজিওদের সমন্বয় করে। যারা বাংলাদেশে উন্নয়নমূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছে। সদস্য সংস্থাগুলো দক্ষতা বৃদ্ধিতে কৌশলগত সহায়তা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
সারাবাংলা/আরএফ/এনএস