সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৪ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা
১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৪৫
ঢাকা: পিত্তথলিতে পাথরের অপারেশনের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান মারুফা বেগম মেরি। কিন্তু কয়েকজন চিকিৎসকের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়।
ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ন কবীরের আদালতে হাসপাতালের চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর ছেলে আহমদ আক্দুর রাফি।
এ সময় বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ’কে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত। আসামিরা হলেন— হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-১’র অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ডা. নাদিম আহম্মেদ, ডা.তানিয়া ও ডা.আরাফাত।
জানা যায়, মারুফা বেগম মেরি পিত্তথলিতে পাথর অপারেশনের জন্য গত ৩ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-১’র ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের অধীনে ভর্তি হন। আল্ট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পিত্তথলির পাথর অপারেশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের অধাঘণ্টা পর ডা. নাদিম জানান, রোগীর হার্নিয়া ছিল, অপারেশন করা হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা নিরীক্ষায় হার্নিয়ার বিষয়ে তাদের কিছু জানাননি চিকিৎসকরা।
তবে অপারেশন করার সময় মারুফা বেগমের গাট ছিদ্র করে ফেলা হয়। তবে বিষয়টি তারা গোপন রাখেন। গাট ছিদ্র সংক্রান্ত জটিলতায় তার শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে জ্বর ও ডায়রিয়া হয় এবং পেট ফুলে যায়।
পরবর্তীতে আসামিরা বিষয়টি নিয়ে ভুল স্বীকার করেন। ৬ দিন পর ২৪ ডিসেম্বর মারুফা বেগমের গাট ছিদ্রের বিষয়টি জানানো হয়। পরে দ্বিতীয়বার অপারেশনের সিদ্ধান্ত হয়। চিকিৎসার খরচ বহন করবেন চিকিৎকেরা। আবার তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের ২৪ ঘণ্টা পর ৩ জানুয়ারি আইসিইউ থেকে তাকে কেবিনে দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আবার আইসিইউতে রাখা হয়। পরে ৪ জানুয়ারি মারুফা বেগম মারা যান।
সারাবাংলা/এআই/এনএস