‘নারীদের জন্য গণপরিবহন এখন বিভীষিকাময়’
১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৪
ঢাকা: শহরের নারীদের জন্য গণপরিবহন খুব প্রয়োজনীয় হলেও তা এখন বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ফোরামের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ দাবি করেন সংগঠনটির নেতারা।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন— বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড জুলফিকার আলী, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমরেড রওশন আরা রুশো, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক রুখশানা আফরোজ আশা।
বক্তারা বলেন, দেশের সর্বত্র প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে নারী-শিশু নির্যাতন। শহরের নারীদের জন্য গণপরিবহন খুব প্রয়োজনীয় হলেও তা এখন বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে। অথচ কোনো নির্যাতনের ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য বিচার বা শান্তি হচ্ছে না বললেই চলে। একটা দেশের উন্নয়ন কখনই অবকাঠামোগত হতে পারে না। মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন, তার নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত, নারীর ভয়হীন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন হতে পারে উন্নয়নের মানদণ্ড।
কিন্তু দেশে প্রতিদিন অসংখ্য নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা শুধু পত্রিকাতেই আসে। অথচ নির্বিকার আমাদের রাষ্ট্র ও প্রশাসন। গণতন্ত্র ও সভ্যতার স্বার্থে, উন্নত রুচিবোধ ও সংস্কৃতি চেতনার আলোকে নারী-পুরুষের সৌন্দর্যমণ্ডিত জীবন ও যৌথ কর্মপ্রয়াসের বিকল্প নেই। সমাজের অগ্রগতি ও প্রগতির স্বার্থে, সুস্থ নিরাপদ জীবনযাপন ও পরবর্তী প্রজন্মের মনুষত্ব নিয়ে বেড়ে উঠার স্বার্থে নারী-পুরুষের মধ্যকার অসাম্য-বৈষম্য বিলোপ আজ সময়ের দাবি। সেই দাবি পূরণের লক্ষ্যে নারী আন্দোলন ও নারী-পুরুষের মিলিতভাবে সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রাম বেগবান করা অপরিহার্য। সমাজের আমূল পরিবর্তনের বিপ্লবী পথে সার্বিক মুক্তি একদিন অর্জিত হবে বলে মনে করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের নেতারা।
দেশে নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি বৈষম্যসহ সব ক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়ে তুলে সমাজে ও পরিবারে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা। পাশাপাশি ঘরে বাইরে সর্বত্র নারী নির্যাতন বন্ধ, নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা কর কর্মজীবী নারীদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ডে কেয়ার সেন্টার নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
সারাবাংলা/এআই/এনএস