Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

একটি দেশের পরিচয় শুধু উন্নয়ন দিয়ে হয় না: মঈন খান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০২

ঢাকা: একটি দেশের পরিচয় শুধু উন্নয়ন দিয়ে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. মঈন খান।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় বিজাতীয় আগ্রাসন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘প্রফেশনালস মুভমেন্ট অব বাংলাদেশ’ নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

ড. মঈন খান বলেন, ‘একটি দেশের পরিচয় শুধু উন্নয়ন দিয়ে হয় না। উন্নয়নের নামে দুর্নীতি দিয়েও হয় না। বাংলাদেশের একটি শিশু যখন স্কুল-কলেজে যাবে তখন তাকে মুক্তচিন্তা করার সুযোগ করে দিতে হবে। তার সামনে সব তথ্য তুলে ধরতে হবে। এর ফলে সে যখন বড় হবে তখন সে নিজেই বুঝতে পারবে কোনটা করা ঠিক হবে আর কোনটা করা বেঠিক হবে। আমরা কেন এখন থেকে তাকে বলি যে সে কি করবে? সরকার এখন একটা ছোট শিশুর মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দেওয়ার কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘একটি দেশের সত্যিকারের পরিচয় হলো সে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি। আজকে সেই শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ইতিহাস থেকে আমাদের কমলমতি শিক্ষার্থীদের বিচ্ছিন্ন করার কাজ চলছে। এখন আমাদের উচিত জাতির সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা।’

ড. মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার দেশ শাসন করে না। তারা বসে বসে ইতিহাস লেখে। কিন্তু সেটা সত্যিকারের ইতিহাস নয়, সেটা কাল্পনিক ইতিহাস। আজকের যে পাঠ্য বইয়ের সমস্যা এটি আসলে পাঠ্য বইয়ের সমস্যা না। পাঠ্য বইয়ের প্রথম পৃষ্টায় যে ছবি রয়েছে সেটি বাংলাদেশের কোথাও কি দেখা যায়? যদি না দেখা যায় তবে এটি আমাদের কমলমতি ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কীভাবে গেল?’

‘আমরা কি পারি না এখানে ১০-১৫ জনের একটি কমিটি করে সঠিক ইতিহাস লিখে সেটি গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে। আমরা চাইলেই এটি করতে পারি। আমি চাই আমরা ৩-৪ মাসের মধ্যে সঠিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি আমাদের ছেলে-মেয়েদের সামনে তুলে ধরতে। আমরা যদি শিক্ষার আদর্শ বিশ্বাস করি, মানবতার আদর্শ বিশ্বাস করি, তাহলে আসুন আমরা সেই পথে অগ্রসর হই। হিংসার রাজনীতি পরিত্যাগ করে একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করি’— বলেন ড. মঈন খান।

ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘যখন বইগুলো ছাপানো হয় তখন আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত ছিল। প্রতিবাদ এমন একটি জিনিস সেটা সব সময় করে যেতে হয়। প্রতিবাদ করলে সমাধান হয়। তাই প্রতিবাদকে চালিয়ে যেতে হয়। যারা স্বৈরাচারী, যারা ক্ষমতাসীন, তারা কিন্তু চিরস্থায়ী হয়নি। কেউ হয়তো ৫ বছর, ২০ বছর ৩০ বছর বা ১০০ বছর থেকেছে। কিন্তু এক সময় না এক সময় তাদেরকে সরে যেতে হয়েছে। কাজেই সে কথাগুলো মনে রেখে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিবাদ আমাদের করেই যেতে হবে।’

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর আবদুল লতিফ মাসুম।

শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন তাজমেরী ইসলাম, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ্ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

ড. মঈন খান


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর