আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল বিএনপি
১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৩৩
ঢাকা: বিএনপির চলমান ‘আন্দোলন-সংগ্রামে’ নিহত মাঠ পর্যায়ের তিন নেতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিএনপি।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে দলটির চেয়ারপারাসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন বাগেরহাট জেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নিহত নূরে আলম ভূঁইয়া তানুর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, মেয়ে তানজিনা তাশমি ও শ্বশুর শেখ আওরঙ্গ জেব, ঢাকা মহানগর পল্লবী থানা ৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিহত মকবুল হোসেনের স্ত্রী হালিমা আক্তার বর্ষা ও মেয়ে মিতিলা আক্তার মারিয়া, পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা ময়দানদীঘি বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিহত আব্দুর রশিদ আরেফিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার ও ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল আল মাহি।
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা যে যুদ্ধে নেমেছি এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হবই হব। সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব। আমাদের হাজার হাজার নেতা আটক রয়েছে। কিন্তু কারও মুখে ক্লান্তি, হতাশা দেখিনি। সবাই দেখেছি উজ্জীবিত। যতই নির্যাতন আসুক, যতই নিপীড়ন আসুক, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করব।’
তিনি বলেন, ‘যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা একটি আদর্শ ও লক্ষ্যের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সে আদর্শ এবং লক্ষ্য হচ্ছে নিজের দেশকে মুক্ত করার, মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার, সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ২২ আগস্ট থেকে আমরা যে কর্মসূচি শুরু করেছি, এই কর্মসূচিতে আমাদের ১৫ জন নেতাকর্মীর প্রাণ দিয়েছেন। এই ভয়াবহ অগণতান্ত্রিক, একনায়কতন্ত্র সরকার টিকে থাকার জন্য অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের গুলিতে ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে এরইমধ্যে ১৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা বীরের মতো, তারা কেউ পেছনে পালাতে গিয়ে শহিদ হননি। সামনে দাঁড়িয়ে বুক পেতে দিয়ে তারা চলে গেছে। দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছে। আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য আমাদের সহকর্মীরা শপথ গ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এই শাহাদাৎ তাদের পরিবারকে অসহায়ত্বের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারা দেশের জন্য দেশপ্রেমের জন্য যে আত্মত্যাগ করেছে, তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এটা তাদের জন্য গৌরবের কারণ হয়ে থাকবে। যুগে যুগে এই বিসর্জন দিতে হয়, প্রাণ দিতে হয় বড় কিছু করতে হলে। ৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে আমাদের লাখ লাখ লোককে প্রাণ দিতে হয়েছে। তখন অনেক পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছিল।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরুউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এনএস