৪৫০ কোটি ডলার ঋণ আলোচনা চূড়ান্ত করতে আইএমএফ’র ডিএমডি ঢাকায়

ঢাকা : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত এম সায়েহ পাঁচ দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। আগামী ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ঢাকায় অবস্থান করবেন।

ঢাকা সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও আইএমএফ‘র ডিএমডি‘র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রোগ্রামে বক্তব্য এবং মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু দেখার কথা রয়েছেও বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে আইএমএফ‘র ডিএমডি ঢাকায় এসেছে পৌছেছেন।

এদিকে আইএমএফের ওয়েবসাইটে এম সায়েহ‘র আনুষ্ঠানিক ঢাকা সফর সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি সহনশীল রাখতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে আইএমএফ। এ জন্য ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ঢাকা সফর করছেন অ্যান্তইনেত এম সায়েহ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামীকাল ১৫ জানুয়ারি রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পর আগামী ১৬ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে আইএমএফ‘র। পরে ১৮ই জানুয়ারি পদ্মা সেতু ভ্রমণ করবেন এবং ওই দিনই তিনি ঢাকা ছাড়বেন বলে জানা গেছে।

এসব বৈঠকে বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে সায়েহ আইএমএফের সদর দফতরে প্রতিবেদন জমা দেবেন। ওই প্রতিবেদনটি আইএমএফের পর্ষদ সভায় উপস্থাপন করা হবে। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত করা হবে।

আইএমএফ বলেছে, বাণিজ্য ঘাটতি, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি খরচ, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকুচিত হওয়ার কারণে সংকটে রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। আইএমএফের মতে, ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ স্বল্প মেয়াদে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য এর আগে গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ আইএমএফ‘র কাছে ঋণ চাইলে সাড়ে তিন বছর ধরে সাত কিস্তিতে ৪৫০ কোটি ডলার অর্থ দেবে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। আগামী মাসেই প্রথম কিস্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম কিস্তি বাবদ ৪৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলার মিলবে। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর একটি করে কিস্তি দেওয়া হবে। সাত কিস্তিতে দেওয়া এ ঋণের শেষ কিস্তি পাওয়া যাবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। ঋণের গড় সুদ হার ২.২ শতাংশ।

সারাবাংলা/জিএস/একে

আইএমএফ ঋণ চূড়ান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি