পরিবহন সংকটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মুসল্লিরা
১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩০
গাজীপুর: মহানগরীর টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল নয়টার দিকে ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমানের হেদায়েতি বয়ান শেষে ২০ মিনিট ধরে চলা এই মোনাজাত শেষ হয় দশটা ২০ মিনিটে।
আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জুবায়ের। তিনি আরবি ও বাংলা ভাষায় মোনাজাত পরিচালনা করেন। তবে মোনাজাত শেষে বাড়ি ফেরার সময় পরিবহন সংকটে পরছেন ইজতেমায় আগত মুসুল্লিরা।
মোনাজাতের পরপরই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, টঙ্গী-বনমালা আঞ্চলিক সড়ক, টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর সড়কে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ছাড়া মুসল্লিদের নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে হেঁটে রওয়ানা দিতে দেখা গেছে।
অনেকেই রওনা হয়েছেন ট্রেনে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে। মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই উপচে পড়া ভিড় হয় টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে। মুসল্লিরা যেনো নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে সেজন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়। ট্রেনে প্রচুর মানুষের চাপ হওয়ায় অনেকে জীবন ঝুঁকি নিয়ে রওনা হয়েছেন বাড়ির পথে।
আখেরি মোনাজাতে দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মার সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও দুনিয়ার শান্তি কামনা করা হয়। এ সময় দু’হাত তুলে মহান আল্লাহ’র দরবারে ফরিয়াদ জানায় লাখ লাখ মুসল্লি। মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই আখেরি মোনাজাতের উদ্দেশে আসা মুসল্লিরা ইজতেমা এলাকা ছাড়ছেন। তবে খিত্তায় অবস্থান নেওয়া মুসল্লিরা পর্যায়ক্রমে ময়দান ছাড়বেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আগামীকাল পর্যন্ত ময়দানে অবস্থান করবেন।
মোনাজাতে অংশ নিতে অনেক মুসল্লি ইজতেমার মূল ময়দানে ঢুকতে না পেরে বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি, ভবনের ছাদে পত্রিকা, পাটি, চট, জায়নামাজ, পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। অনেকেই আবার মোবাইল ফোনে দূর-দূরান্ত থেকে মোনাজাতে শরিক হন।
‘আমিন-আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আকুতি জানিয়ে দেশের কল্যাণ, দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি কামনা, মুসলমানদের ইমানি শক্তি বৃদ্ধি, মুসলমানদের মাঝে ঐক্য, বিশ্ব ইজতেমাকে কবুল, যুবসমাজকে হেদায়েত দান করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে শেষ হলো আলমি শুরার তত্ত্বাবধানে (জুবায়েরপন্থী) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গোনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য মহান আল্লাহ দরবারে রহমত প্রার্থনা করা হয়। এসময় মুসল্লিদের কান্নায় টঙ্গীর আকাশ ভারি হয়ে উঠে।
আরও পড়ুন: আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লি, আমিন ধ্বনিতে মুখরিত তুরাগ তীর
সারাবাংলা/এমও