‘মডেল মসজিদ মানুষকে ধর্মের নামে বিভ্রান্তি দূর করতে সহায়তা করবে’
১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫৩
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো থেকে জনগণ ইসলামী মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নারী নির্যাতন বন্ধে ব্যাপক অবদান রাখার পাশাপাশি ধর্মের নামে বিভ্রান্তি দূর করতে সহায়তা করবে মডেল মসজিদগুলো।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী এসময় এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছি, কারণ, এতে ইসলামের নামে কেউ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না এবং তাদের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। মডেল মসজিদে ইসলামী মূল্যবোধের চর্চা হবে, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান আরও বাড়বে, ইসলামী সংস্কৃতি লালন ও বিকাশের আরও সুযোগ থাকবে এবং ইসলাম ধর্মকে আরও উন্নতভাবে পালনের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার সরকার চলে বলেই ইসলাম ধর্ম এবং শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয় এবং দীর্ঘদিনের দাবিপূরণ করে দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের মর্যাদা দিয়েছে, ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে, তাছাড়া প্রতিটি উপজেলা ও জেলা সদরে একটি করে মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে কেউ যেন মানুষকে বিপথে নিতে না পারে, প্রকৃত ইসলামের মূল্যবোধ সম্পর্কে মানুষের মাঝে যেন সচেতনতার সৃষ্টি হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রেখেই এই মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প আমরা নেই এবং নির্বাচনী ইশতেহারেও সেটার ঘোষণা দেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্পের মূল লক্ষ এবং উদ্দেশ হচ্ছে মুসল্লিদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা, ধর্মীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দ্বীনি দাওয়াতি কার্যক্রমের সুবিধা সৃষ্টি করা, সন্ত্রাস- জঙ্গিবাদ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার নীতি নির্ধারণের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাধীনভাবে ইসলামী জ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধের প্রসার ঘটানো। এছাড়া, এখানে একটি লাইব্রেরিও থাকবে। কেননা ইসলাম ধর্মের ভ্রাতৃত্ব এবং সাম্যের প্রচার এবং প্রসারও এর একটি অন্যতম লক্ষ্য।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও