নিম্ন আদালতের নিরাপত্তায় ১১ নির্দেশনা প্রধান বিচারপতির
১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৯
ঢাকা: দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। একই সঙ্গে অধস্তন আদালতের নিরাপত্তায় নিশ্চিত করতে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি মহোদয় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে ইতোপূর্বে একাধিকবার দেশের প্রত্যেক আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। অধস্তন দেওয়ানি আদালতে মোকদ্দমাসমূহের নথিতে বিচারপ্রার্থী জনগণের মূল দলিল/ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। আদালতের হেফাজতে থাকা এসব দলিলাদি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি নষ্ট হলে আ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মহোদয় সংশ্লিষ্ট সকলকে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
(ক) আদালত ও বিচারকগণের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর সুসংহত করা; (খ) আদালত ও ট্রাইব্যুনালের এজলাস, বিভাগ, প্রতিটি ফটক ও আদালতের বাহিরে সিসিটিভি স্থাপন করা। (গ) আদালত ভবনের বাইরে ও ভেতরে নিরাপত্তা প্রহরী দ্বারা সার্বক্ষণিক পাহারা দেওয়া (ঘ) আদালত ভবনের দরজা ও জানালাগুলো গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা করে গ্রিল আরও মজবুত করা (ঙ) আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা (চ) মামলা সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের নিরাপদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা; (ছ) ব্যবহারের নিমিত্ত মানসম্মত ফার্ণিচার/লকার নিশ্চিত করা। (জ) আদালত সীমানার চারিদিকে সিকিউরিটি পোস্ট স্থাপন করা; (ঝ) জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশের আদালত এলাকায় রাতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল জোরদার করা: (ঞ) অবকাশকালীন আদালত ভবনের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা; (ট) প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কর্মকালীন পর্যাপ্ত পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে