নর্থ-সাউথের শাহজাহানের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই
১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৪৫
ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) সাবেক ট্রাস্টি মোহাম্মদ শাহজাহানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে শাহজাহানের কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা লিভ টু আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা, ও শাহ মঞ্জুরুল হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন শাহজাহান। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৮ আগস্ট তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে রায় দেন।
রায়ে আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না— এ দুই শর্তে শাহজাহানকে জামিন দেওয়া হয়। পরে জামিনের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালতে আবেদন করে।
চেম্বারজজ আদালত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন। সেইসঙ্গে আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এ ছাড়া দুদককে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় দুদকের লিভ টু আপিল আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
এর আগে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় গত বছরের ২২ মে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি শাহজাহানসহ চার ট্রাস্টির আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
আসামিরা হলেন— তৎকালীন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম