ধামরাইয়ে অগ্নিদগ্ধ ৫ জনই মারা গেলেন
১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:০০
ঢাকা: ঢাকার ধামরাইয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন থাকা হোসনে আরাও (৩০) মারা গেছেন। এ নিয়ে অগ্নিদগ্ধ পরিবারের পাঁচজনই মারা গেলেন।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হোসনে আরার শরীরে ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে, শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ধামরাইয়ের কুমড়াইল কবরস্থানের সংলগ্ন দু’তলা বাড়ির নিচ তলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হয়, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছিল।
এতে দগ্ধ হয়েছিলেন- জোছনা বেগম (২৫), তার স্বামী গার্মেন্টস কর্মী মঞ্জুরুল (৩২) দের বছরের মেয়ে মরিয়ম, বোন হোসনে আরা (৩০) এবং আরেক বোনের মেয়ে সাদিয়া (১৮)।
চিকিৎসাধীন শনিবার দিবাগত রাতে মারা যায় মঞ্জুরুলের মেয়ে শিশু মরিয়ম। মঙ্গলবার ভোরে মারা যান স্ত্রী জোছনা বেগম ও দুপুরে ভাগ্নি সাদিয়া। বুধবার সকালে মারা যান মঞ্জুরুল।
তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মো. নিজাম শেখ জানান, ভোরে তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। এরপর ভবনের নিচ তলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচ তলায় গিয়ে দেখেন, বাসাটির ভিতর পাঁচজন দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছে। আর আগুনে বিছানার কিছুটা পুড়ে গেছে। তখন তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
স্বজনদের ধারণা, ভোরে রান্নার জন্য উঠে আগুন জ্বালানোর পর লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের কারণে আগুন ধরে যায়।
সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ