মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি পুরস্কার পেল লিডার্স
১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:০১
ঢাকা: সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে বিশেষ অবদান রাখায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি পুরস্কার-২০২৩ পেয়েছে বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘লোকাল এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ সোসাইটি’ (লিডার্স)।
এই আন্তজার্তিক পুরস্কার অর্জন করায় ক্রেস্ট, সনদ ছাড়াও ৬ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা পাবে লিডার্স। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দুবাইতে এক জমকালো অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়া ও মোজাম্বিকসহ সাতটি দেশের প্রেসিডেন্ট ও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূলীয় পানি সংকট নিরসনে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরুপ লিডার্স এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। লিডার্স বিভন্ন ধরনের পানি প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে উপকূলীয় মানুষের পানি সংকট নিরসনে ২০০৩ সাল থেকে কাজ করছে। সুপেয় পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লিডার্স রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম, পিএসএফ, এমএআর, বায়োস্যান্ড ফিল্টার স্থাপন ও পুকুর খনন করেছে। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ঘটিয়ে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গভীর নলকূপ স্থাপন, খাল খনন এবং মিনি পুকুর খনন করছে। এই পুরস্কার প্রাপ্তি লিডার্সের কার্যক্রমকে আরও মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার জলবায়ুপীড়িত মানুষের জীবন মান উন্নয়নে লিডার্স অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াটার শোকেজ পুরস্কার এবং ২০২০ সালে দুর্যোগ যোদ্ধা হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-চ্যানেল আই এ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে লিডার্স। এছাড়াও লিডার্স সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) কর্তৃক লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি পুরস্কার হলো সহনশীলতার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ২০০৮ সালের সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এই পুরস্কারটি চালু করেন। এই পুরস্কারটি প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মানবতাবাদের উত্তরাধিকার এবং টেকসইতার প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধাস্বরুপ চালু করা হয়। উদ্ভাবনী ও অনুপ্রেরণামূলক টেকসই সমাধানের স্বীকৃতি হিসেবে অলাভজনক সংস্থা, ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ এবং স্বাস্থ্য, খাদ্য, শক্তি, পানি এবং গ্লোবাল হাই স্কুল ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতি বছর পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের ৩ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করা হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএস