Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রাথমিকে ১১৪টি শিক্ষকের পদ সংরক্ষণের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫০

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ২০২০ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় ১১৪টি পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিটকারীদের প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন জেলার ১১৪ জন প্রার্থীর দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. শরিফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘রিটকারীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফলভাবে উত্তীর্ণ হন এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। এরপর গত ১৪ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। যেখানে কোনো প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এর ৮ এর ২ বিধিতে বলা হয়েছে ’উপ-বিধি (২) এর দফা (গ) তে উল্লেখিত মহিলা, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে, আপাতত বলবৎ অন্য কোন বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনো বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে ওই কোটা সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে’এবং ’প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩৫ এর ১ এ বলা হয়েছে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও, প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী, উপযোগী কোন কর্মে নিযুক্ত হতে কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বঞ্চিত বা তাহার প্রতি বৈষম্য করা বা তাহাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না’ এবং আমাদের দেশের সংবিধান এর অনুচ্ছেদ ২৮ এর ৪ এ উল্লেখ আছে যে ‘Nothing in this article shall prevent the State form making special provision in favour of women or children or for the advancement of any backward section of citizens’ অর্থাৎ রিটকারীরা ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু চূড়ান্ত ফল প্রকাশের সময় ওই বিধি অনুসরণ করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

এ কারণে দেশের বিভিন্ন জেলার ১১৪ জন প্রতিবন্ধী প্রার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। গত ১৫ জানুয়ারি মো. মাহাবুব শেখ, মো. আবু জাহিদ, ফাহিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, পার্থ প্রতিম মিন্ত্রি, শাজাহান শেখ, মো. মনোয়ার হোসেন, মো. আজিজুল ইসলাম, বৃষ্টি রানি রায়, মো সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও মো. নুর আলমসহ বিভিন্ন জেলার মোট ১১৪ জন প্রতিবন্ধী প্রার্থী এই রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত ১১৪টি সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকের পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

প্রাইমারি স্কুল প্রাথমিক শিক্ষক হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর