Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নেতার ভিড়ে কর্মী চেনা মুশকিল: কাদের

সিনিয়র করেসপেন্ডেন্ট
১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:০৬

ওবায়দুল কাদের, ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কর্মী বাহিনী দরকার ও সুশঙ্খল আওয়ামী লীগ দরকার। তৃতীয়বার জেনারেল সেক্রেটারি হয়ে আমার অঙ্গীকার— আওয়ামী লীগকে সুশৃঙ্খল করে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগকে কলহ মুক্ত করতেই হবে। আওয়ামী লীগের পরিচয় ব্যবহার করে যারা চাঁদাবাজি করবে, মাস্তানি করবে, মাদক ব্যবসা করবে, জমি দখল করবে, তাদের সঙ্গে কোনো আপোষ নেই। এতো নেতার ভিড়ে কর্মী চেনা মুশকিল। নেতার ভিড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চ পযন্ত ভেঙে পড়ে। এতো নেতার দরকার নাই।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মুখে বলি আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। বলি শেখ হাসিনার কর্মী। কিন্তু আমরা যখন সবাই নেতা হই, সবাই নেতা হয়ে মঞ্চে উঠি তখন আর আদর্শের কথা মনে থাকে না। আমাদের নেতারা মঞ্চে বসেন, বক্তৃতা করতে না পারলে সারা মুখের উপর শ্রাবণ বর্ষার মেঘ এসে পড়ে। মন খারাপ হয়ে যায়। সবাইকে বক্তৃতা করতে হবে কেন? ভাগ ভাগ করে নেন। অমুক দিন অমুক বলবে।’

বিরক্তি প্রকাশ তিনি বলেন, ‘মঞ্চে নেতা বসে আছেন, ধরেন ৫০ জন। সবার বিশেষণ দিয়ে নাম বলতে হবে কেন? সভার সভাপতি, প্রধান অতিথি অন্যান্য নেতৃবৃন্দ- এভাবে সময় কমান, বক্তৃাতার সময় বাড়ান। বিশেষণ দিতে দিতেই সভার অবস্থা কাহিল। আর কিছু আছে জামা-পাঞ্জাবি টানলেও বসতে চায় না। ভাষণ দিয়েই যাচ্ছেন। এক কথা বারবার বলেই যাচ্ছেন। সেই ভাষণের মধ্যে কোনো সারকথা নেই। বলছে তো বলছেই, গাড়ি চলছেই। ম্যারাথন ভাষণগুলো বন্ধ করুন। সারকথা বলুন।’

সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘যারা ভাল বলেন তাদের বলতে দিন। কিছু আছে কাজ ভাল করেন। তারা কাজ ভাল করবে। কেউ বক্তৃতা ভাল করেন, তাকে দিয়ে বক্তৃতা করান। আমার দরকার মানুষের সঙ্গে সেতু তৈরি করা। সেই সেতু তৈরি করতে হলে সেভাবেই আপনাকে কথা বলতে হবে।’

কঙ্গবন্ধুর সৈনিক মুখে বলবেন আর কাজে বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিরোধী কাজে লিপ্ত হবেন— এই কর্মী আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই বলে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনের জন্য আপনারা প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ঘরে ঘরে যান। গণসংযোগ করেন। সদস্য সংগ্রহের অভিযান পরিচালনা করেন। নির্বাচন আগামী জানুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন যেটা আভাস দিয়েছে। আবারও বলছি— ঐক্যবদ্ধ হন, সুশৃঙ্খল হন, বিবাদ ও কলহ বন্ধ করুন। আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ হলে বাঁচাবে কে? আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ হলে আওয়ামী লীগের বিজয় কারা ঠেকাবে? আমরা নিজেরাই যথেষ্ট? বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ হারাবে। ভোটে আমরা হারব না। কিন্তু কলহ আমাদের সমস্যার কারণ। এই কলহ আমাদের দূর করতে হবে।’

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপকি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। সভায় বক্তব্য দেন— প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আবদুল বাতেন মিয়াসহ আরও অনেকে।

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর