Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাঠ্যপুস্তকের ভুল সংশোধনী এনসিটিবি’র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০২

ঢাকা: ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রকাশিত কয়েকটি পাঠ্যপুস্তকে কিছু ভুল পাওয়ার কথা জানিয়ে সংশোধনী দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। একইসঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভুল সংশোধন করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ্যপুস্তকে কিছু ভুল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জেরে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) এনসিটিবি’র ওয়েবসাইটে এই সংশোধনী দিল প্রতিষ্ঠানটি। এনসিটিবি’র প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার ঢালীর সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র নবম-দশম শ্রেণির তিনটি বিষয়ে নয়টি সংশোধনী দেওয়া হয়েছে।

এতে নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বিষয়ের ১৮১, ২০০, ২০২ ও ২০৩ পৃষ্ঠায় চারটি সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ০৬, ১৬ ও ২৮ নম্বর পৃষ্ঠায় তিনটি সংশোধনী। এছাড়া পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের ৫৭ ও ৫৯ পৃষ্ঠায় দুটি সংশোধনী দেওয়া হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নিম্নলিখিত পাঠ্যপুস্তকে যেসব ভুল দেখে গেছে তা সংশোধন করা হলো। যা শিক্ষকরা পাঠ পরিচালনার সময়ে শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে পরিমার্জনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়াও শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে এনসিটিবি’র ওয়েবসাইট থেকে ভুলগুলো সংশোধন করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

যে ভুলগুলো সংশোধন করা হয়েছে:

নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের ১৮১ পৃষ্ঠায় ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জুড়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী নির্যাতন, গণহত্যা আর ধ্বংসলীলায় মেতে ওঠে’ এর পরিবর্তে হবে ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জুড়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী নির্যাতন, গণহত্যা আর ধ্বংস মেতে ওঠে।’

২০০ পৃষ্ঠায় রয়েছে ‘১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।’ সংশোধনী হবে, ‘১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।’

২০২ পৃষ্ঠায় ‘সংবিধান প্রণয়ন ১৯৭২ এর পটভূমি’ অংশের প্রথম অনুচ্ছেদের পর যুক্ত হবে… ‘সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছিল। সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সার্বক্ষণিক দিক-নির্দেশনা ছিল। তিনি সংবিধান কমিটিকে বিভিন্ন মৌলিক বিষয়ে প্রত্যক্ষ নির্দেশনা দিয়েছিলেন।’

২০৩ পৃষ্ঠায় ‘পঞ্চমভাগে জাতীয় সংসদ’ লেখার পরিবর্তে হবে ষষ্ঠ লাইনে ‘পঞ্চমভাগে আইনসভা।’

নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের পৃষ্ঠায় ৬’এ রয়েছে, ‘৫৪ সালের নির্বাচনে ৪টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। দল চারটি হলো- আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম, ও গণতন্ত্রী দল।’ এর পরিবর্তে হবে, ‘৫৪ সালের নির্বাচনে ৫টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। দল পাঁচটি হলো- আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম, গণতন্ত্রী দল ও পাকিস্তান খেলাফতে রব্বানী পার্টি।’

১৬ পৃষ্ঠায় রয়েছে, ‘ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ ক্যাম্প ও পিলখানা ইপিআর ক্যাম্প।’ এর পরিবর্তে হবে, ‘রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স ও পিলখানা ইপিআর সদর দফতর।’

২৮ পৃষ্ঠায় রয়েছে, ‘সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ এ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য।’ সংশোধনী হবে, ‘সাধারণ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষণ এ সংবিধানের বৈশিষ্ট্য।’

নবম-দশম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের ৫৭ পৃষ্ঠায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কাজ’র ১ ক্রমিক এর অনুচ্ছেদে প্রতিস্থাপিত হবে… ‘রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারের সকল শাসনসংক্রান্ত কাজ তার নামে পরিচালিত হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত তার সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করেন। তিনি মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন। রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের (মহা হিসাবরক্ষক, রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা) নিয়োগের দায়িত্বও রাষ্ট্রপতির। প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগসমূহের সর্বাধিনায়কতা রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত। তিন বাহিনীর (সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী) প্রধানদের তিনিই নিয়োগ দেন।’

৫৯ পৃষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কাজ-১ ক্রমিকের অনুচ্ছেদটি প্রতিস্থাপিত হবে…. ‘প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের প্রধান। প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়। তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা নির্ধারণ করেন ও মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বণ্টন করেন। তিনি যেকোনো মন্ত্রীকে তার পদ থেকে অপসারণের পরামর্শ দিতে পারেন।’

সারাবাংলা/আরএফ/এনএস

এনসিটিবি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর