‘রাজনৈতিক মতপার্থক্যে নির্বাচনি পরিবেশ অনুকূলে আসেনি’
১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০০
ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কিছু বিষয়ে এখনও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এসব কারণে নির্বাচনি পরিবেশটা এখনও অনুকূলে আসেনি। তবে অচিরেই এই মতপার্থক্য দূর হয়ে যাবে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন। বৈঠকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত চার্লস হোয়াইটলিসহ ১১ জন প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের যে রোডম্যাপ আছে, সেই রোডম্যাপ অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে এবং আমরা যথাসময়ে নির্বাচন করব। আমরা এটাও উনাদের পরিষ্কার করে বলেছি। কিছু কিছু বিষয়ে এখনও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এই মতপার্থক্য থাকার কারণে এখনও নির্বাচনি পরিবেশটা কনজেনিয়াল (অনুকূলে) নয়।’
তিনি বলেন, ‘শেষমেশ সব দলগুলো নির্বাচনে আসবে, সে বিষয়ে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। আমরা বলেছি, যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়, তাহলে চমৎকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের পুরো প্রস্তুতি রয়েছে।’
রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে একাধিকবার বলেছি যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন। ব্যাপক অর্থে তাদের মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন হয়। প্রথম থেকেই আমরা এই আবেদন করে আসছি, এখনো করে যাচ্ছি। মতপার্থক্যগুলো রাজনৈতিক ইস্যু, আমাদের ইস্যু নয়। কাজেই রাজনৈতিক ইস্যুগুলো, যেগুলো নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হতে পারে, সেগুলোর সুরাহা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেই করতে হবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে কোনো সুপারিশ আাছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা ছিল একটাই- আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কী ধরনের সহযোগিতা দিতে পারবে। আমরা বলেছি যে, গণমাধ্যম আমাদের নির্বাচন কভার করে থাকে, পর্যবেক্ষকরাও করে থাকেন। অতীতেও সেভাবে করেছে। কিন্তু এবার আমরা আমাদের তরফ থেকে ফুললি ওপেন হব। আমাদের তরফ থেকে কোনো অন্তরায় থাকবে না। ফরেন অবজারভার (পর্যবেক্ষক) সম্পর্কে আমাদের একটা পলিসি আছে। তারা আমাদের কাছে আবেদন করবেন। আমরা সেটা পাঠিয়ে দেব স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। কারণ বিষয়টি দ্বিপাক্ষিকভাবে সুরাহা হতে হবে।’
বৈঠকে ইইউভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ঢাকায় ইইউর ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, ডেনমার্কের দূত ইউনি স্ট্র্যাপ পিটারসন, সুইডেনের দূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন, জার্মানির দূত আচিম টোস্টার, নেদারল্যান্ডসের দূত অ্যানি গিরার্ড ভ্যান লুইন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গিলিয়াম এড্রেন ডে কের্ডেল, ইতালির ডেপুটি হেড অব মিশন মাতিয়া ভেনচুরা, স্পেনের হেড অব মিশন ইগনাসিয়ো সাইলস ফার্নান্দেজ, সুইজারল্যান্ডের দূত নাথালি চুয়ার্ড ও নরওয়ের দূত এস্পেন রিক্টার সেভেন্ডসেন।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম