অন্ধজনে আলো দেবে— প্রধানমন্ত্রীর ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’
১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:০২
ঢাকা: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. শহীদুল ইসলাম। ধান কাটার সময় চোখে কিছু একটা বেঁধে বলে মনে হয় তার। এরপর নানারকম স্থানীয় টোটকায় চোখ সারানোর চেষ্টা করে যান। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে’র বিষয়ে। সেখানেই তাকে পাঠানো হয়। আর সেখানে চিকিৎসা নিয়েই তার চোখের আলো ফিরে আসে।
মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম গরম পানির ছ্যাঁক দিলেই ঠিক হয়ে যাবে। এরপরে আস্তে আস্তে দুনিয়া অন্ধকার হতে শুরু করে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শুনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে চোখের চিকিৎসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিয়েছেন। সেখানে যাওয়ার পরে চিকিৎসা নিয়ে এখন প্রায় সুস্থ আমি। দুনিয়াদারী এখনও দেখতে পারছি, আর তাই কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি।’
এ তো গেলো অগণিতের মাঝে মাত্র একজন সেবা গ্রহীতার কথা।
দেশের একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ যেনো তাদের চোখের চিকিৎসা করানোর জন্য কোনো ভোগান্তিতে না পড়েন। সেজন্যেই কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। দেশের ১৩৫টি উপজেলায় এমন ভিশন সেন্টার স্থান করা হয়েছে। আর তাই প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কারণ এই সেন্টারগুলোর কারণে এখন অনেক মানুষই চোখের প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি নানা রকমের বড় জটিলতা থেকেও মুক্ত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসেবা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নেওয়া এই কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে অন্ধকারের দিকে যাওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে মানুষের চোখে এখন আলোর ঝলকানি।’
কমিউনিটি ভিশন সেন্টার কী?
এটি একটি চক্ষু চিকিৎসাকেন্দ্র। সরকার চক্ষু রোগীদের চোখে ছানি পড়া, গ্লুকোমা বা ডায়াবেটিস, রেটিনোপ্যাথি বা শিশুর চোখে আঘাতজনিত চিকিৎসা, পাওয়ার চশমার ব্যবস্থাপনা সরকারিভাবে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতের চক্ষু হাসপাতাল চেইন অরবিন্দ হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পরে জনবল প্রশিক্ষিত করা শেষে শুরু করা হয় এই ভিশন সেন্টারগুলো।
সারা দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে দেশের ১৩৫টি উপজেলায় এই সেবা চালু করা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ৪৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সেবা চালু করা হয়।
কমিউনিটি ভিশন সেন্টার কিভাবে কাজ করে?
দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে বা গ্রামে থাকা রোগীদের ঘরের কাছেই উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে নিজেদের চোখের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়াটাই কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্দেশ্য।
এই কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে সেবা নিতে যাওয়ার পরে রোগীর তথ্য সংগ্রহ করেন সেখানে কর্মরত দু’জন সিনিয়র নার্স। তারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেজ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে রোগীর যাবতীয় তথ্য পাঠান। রোগীর সঙ্গে বিশেষজ্ঞকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত করে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
বেইজ হাসপাতালের টেলিকনসালটেশন রুমে একাধিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থেকে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে কর্মরত চক্ষু বিষয়ে সুপ্রশিক্ষিত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের পাঠানো মেডিকেল রেকর্ড পর্যালোচনা করেন। এরপর নার্স ও রোগীর সঙ্গে ভিডিও কনসালটেশনের মাধ্যমে চক্ষু রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেবেন। বেইজ হাসপাতাল থেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ই-সাইন যুক্ত ব্যবস্থাপত্র কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে অনলাইনে পাঠাবেন। বেইজ হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থাপত্রের প্রিন্টকপি অনুযায়ী সিনিয়র স্টাফ নার্স রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ ও পাওয়ার চশমা দেওয়া হয়ে থাকে।
কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে যেসব সেবা দেওয়া হয়
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের জন্য একটি রুম বরাদ্দ থাকে। সেখানে চোখের রোগীরা প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাসহ সমন্বিত উন্নত চিকিৎসা সেবা পায়। এরমধ্যে রয়েছে ছানি, গ্লুকোমা, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, শিশু চক্ষুরোগ, চোখের আঘাতসহ অন্যান্য জটিল চক্ষুরোগ শনাক্তকরণ।
এছাড়া টেলি-কনসালটেশনের মাধ্যমে বেইজ সেন্টারে কর্মরত চক্ষু বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে রেফারেলের মাধ্যমে বেইজ সেন্টারে এসে রোগীরা অপারেশন ও প্রয়োজনীয় ইনভেস্টিগেশন করতে পারবে। কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে ওষুধসহ পাওয়ার চশমা দেওয়া হয়।
কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসায় যেসব আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে তার মধ্যে স্লিটল্যাম্প, অটোরিক্সাক্টোমিটার (চোখের পাওয়ার মাপার যন্ত্র), ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি এবং গ্লুকোমা রোগ নির্ধারণের জন্য ফান্ডাস ক্যামেরা, চোখের প্রেসার মাপার যন্ত্র, অপথালমোস্কোপ ও রেটিনোস্কোপ উল্লেখযোগ্য।
বেইজ সেন্টার কী?
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টারগুলো বেইজ সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে বেইজ সেন্টার মানে হলো পাশেই থাকা কোনো বড় মেডিকেল কলেজ বা ইনস্টিটিউট। যেমন বরিশাল বিভাগের কমিউনিটি ভিশন সেন্টারগুলোর জন্য বেইজ সেন্টার হিসেবে সংযুক্ত আছে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের সঙ্গে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জের কমিউনিটি ভিশন সেন্টারগুলো সংযুক্ত আছে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব আই হসপিটালের সঙ্গে। এভাবেই কিন্তু সব সেন্টারই আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত আছে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রতিটা ইউনিয়নে ও উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার। পাকিস্তান আমলে মাত্র একটি ডিভিশনের একটি থানায় হেলথ কমপ্লেক্স ছিল। বঙ্গবন্ধু ৩৬৭টি হেলথ কমপ্লেক্স করেন সারা দেশে। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র তৈরি করার পদক্ষেপ নেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের পরে দীর্ঘ ২১ বছর সময় পাড় করে ক্ষমতায় আসেন তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় এসেই জনগনের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তারই ফলশ্রুতিতে তিনি সাড়ে চার হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০১ সালে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হলে পরবর্তী সরকার এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ছাগল পালন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। এর ফলে জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। এইসব ক্লিনিকে ২৮টি ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়।’
ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এরপরেই প্রধানমন্ত্রী নেন আরেকটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি চোখের চিকিৎসা কিভাবে উন্নত করা যায় তার দিকেও দৃষ্টিপাত করেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তখন তিনি প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কমিউনিটি ভিশন সেন্টার তৈরি করার উদ্যোগ নেন। এর উদ্দেশ্য হলো, গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষ যেনো সেখানে সেবা নিতে পারে। কারণ গ্রামের নারীরা সেভাবে আসলে চিকিৎসাসেবা নিতে পারে না নানা কারণে।’
তিনি বলেন, ‘এই ভিশন সেন্টারগুলোতে থাকা অপথ্যালমিক নার্সরা রোগীর সকল কিছু নোট করে সংযুক্ত হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। এরপরে চিকিৎসক যখন দেখবে রোগীর ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথী হয়েছে তাকে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। যার চোখের ছানি হয়েছে তাকে বলা হয় রেফার করা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে অপারেশন করানোর জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে রোগীরা অনেক সুবিধা যেন পায় সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই সেন্টারে বিনামূল্যে ন্যাশনাল আই কেয়ারের মাধ্যমে ছানি অপারেশন করা হচ্ছে যা বাইরে করতে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু সরকার সেটা দিচ্ছে বিনামূল্যে। প্রধানমন্ত্রী জনসেবায় এতো গুরুত্ব দিয়েছেন যে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বিনামূল্যে দরিদ্র রোগীদের দিচ্ছেন। শুধু তাই না, ইন্ট্রাওকুলার লেন্স, চশমাও কিন্তু বিনামূল্যে কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে দেওয়া হচ্ছে।’
দেশে বর্তমানে চক্ষু রোগীর পরিসংখ্যান তুলনামূলক আগের চাইতে কমেছে বলেও মনে করছেন অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে দু’টি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এর মাঝে অন্যতম ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যার ফলে রাতকানা রোগ কমে গেছে দেশে। একইসঙ্গে দেশে কর্নিয়া আলসারও কিন্তু কমে গেছে। আমি কমিউনিটি অফথ্যালমজি সোসাইটির সভাপতি হিসেবেও বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা সরকারকে বললাম, যখন কৃষকেরা ধান কাটবে তখন তাদের যেনো একটা ১০০ টাকা মূল্যের শূন্য পাওয়ারের চশমা দেওয়া হয়। যাতে করে ধান কাটার সময় তা চোখের না যায়। আমাদের দেশে একসময় বহু লোক অন্ধ হয়েছে এই কর্নিয়া আলসারে। এখন কিন্তু আর সেটা নাই। এই কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে ডায়াবেটিসও কিন্তু স্ক্রিনিং করা হবে। একইসঙ্গে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথী আছে কিনা তাও স্ক্রিনিং করা হবে। এর ফলে আমরা অনেক মানুষকে অন্ধত্ব বরণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবো।’
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ ঘোষণা দিয়ে বলেছেন আগামীতে আরও কমিউনিটি ভিশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে চক্ষু চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিক, কমিউনিটি ভিশন সেন্টার ও বিএসএমএমইউ’র সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তৃণমূল থেকে শুরু করে দেশে উচ্চ পর্যায়ের লোকদের চিকিৎসা দিতে পারবে। যেনো আর কোনো রোগী দেশের বাইরে যেতে না হয়। এর ফলে আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবেও অনেক শক্তিশালী হবে।’
কর্তৃপক্ষ কী বলছে?
কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম বিষয়ে চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কমিউনিটি ভিশন এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কমিউনিটি ভিশন সেন্টার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবায় অবদান রাখছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে চক্ষু পরীক্ষার সব আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ কমিউনিটি ভিশন সেন্টার করা হয়েছে, যেখানে দেশ ও বিদেশের সিনিয়র চিকিৎসকসহ নার্সরা আছেন।’
কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্য চিকিৎসা দেওয়া হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে ১৩ লাখ ২১ হাজার ৫৭৭ জন রোগীকে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুই লাখ ১০ হাজারের অধিক রোগীকে পাওয়ার চশমা দেওয়া হয়েছে। ১২ হাজার ৪০০ এর অধিক রোগীকে অস্ত্রপাচারসহ অন্যান্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ৬৫টি সেন্টার চালুর কর্যক্রম চলমান।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষের চক্ষু চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কোনো বিকল্প নেই। এ কমিউনিটি ভিশন সেন্টার প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়েছে। দেশের ৭টি বিভাগের ৩৯টি জেলার ১৩৫টি উপজেলায় সমন্বিত চক্ষু চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আর নতুন এ কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপনের ফলে দেশের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ বা ৫ কোটি মানুষ উন্নত চক্ষু সেবার আওতায় আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবমিলিয়ে তিন ধাপে সাত বিভাগের ৩৯টি জেলার ১৩৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইভিশন সেন্টার উদ্বোধন হয়েছে। এর মাধ্যমে এসব এলাকার মানুষ উন্নত স্বাস্থ্যসেবার আওতায় এসেছেন। এর ফলে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (৫ কোটির বেশি) মানুষের উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সেবার আওতায় আসা সম্ভব।’
সারাবাংলা/এসবি/এমও